২০২০ সালে যাদের হারিয়েছি

গত ২০২০ সাল থেকে আমরা করোনা মহামারির মতো ভয়াবহ এক জীবনবিনাশী বৈশ্বিক ভাইরাসের সাথে বসবাস করে আসছি। এই সময়ে বাংলাভাষার বিভিন্ন অঙ্গনের অসংখ্য গুণী সন্তানকে আমরা হারিয়েছি, জানিয়েছি চিরবিদায়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজনকে নিয়ে নতুন বছরের শুরুতে সাম্প্রতিক দেশকাল পত্রিকা’র স্মরণ-


ড. আনিসুজ্জামান
দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান গত ১৪ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার মৃতদেহ থেকে নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হলে জানা যায় তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত একুশে ও স্বাধীনতা পদক এবং ভারত সরকারের পদ্মভূষণ সম্মান অর্জন করেন। বর্ষীয়ান এই বুদ্ধিজীবীকে হারিয়ে বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে।


কামাল লোহানী
কামাল লোহানী এ দেশের সাংবাদিকতা, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শুধু একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস, চির বিদ্রোহের অধ্যায়। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনে সর্বাগ্রে থাকা একজন মানুষ। গত ২০ জুন ২০২০-তে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৮৬ বছর বয়সে মারা যান। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালনে সরকারি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তার ছিল দৃঢ় ভূমিকা। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে ধারাবিবরণী দিয়েছিলেন কামাল লোহানী।


মকবুলা মনজুর

কথাসাহিত্যিক ও গল্পকার মকবুলা মনজুর ২০২০ সালের ৩ জুলাই রাজধানী ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সাহিত্যের প্রতি তার অনুরাগ এমনই ছিল যে তিনি কখনোও আদর্শ বিচ্যুত হননি। ১৯৩৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার মুগবেলাইয়ে। তিনি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলা সাহিত্যে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট, নারীবাদী চেতনা নিয়ে তার কলম ধরেন। তিনি তার কালের মন্দিরা উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ওপর অত্যাচারের কাহিনি তুলে ধরেন। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ বহু সম্মাননায়  ভূষিত হয়েছেন।


ভাষাসৈনিক এম নূরুল ইসলাম
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সৈনিক, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ও খুলনা মহাগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এম নূরুল ইসলাম দাদু ভাই। ২১ অক্টোবর ২০২০ সকালে খুলনার একটি হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ভাষাসংগ্রামী এম নূরুল ইসলাম দাদু ১৯৩৪ সালের ২ মে খুলনা মহানগরীর ২০, বাবুখান রোড এলাকায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম ডা. খাদেম আহমেদ এবং মা আসিয়া খাতুন। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পাস করার পর ছাত্রজীবনে নিখিল বাংলা মুসলিম ছাত্রলীগের খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক, ১৯৫২ সালে হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর যুক্ত ফ্রন্টে, ১৯৫৭ সালে ন্যাপের খুলনা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬২ সালে খুলনার জাহানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ১৯৬৮-৬৯-এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দান, ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি দলমত নির্বিশেষ সবার কাছেÑ‘দাদু ভাই’ নামে পরিচিত।


রাহাত খান
গত ২৮ আগস্ট ২০২০-এ বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কথা সাহিত্যিক রাহাত খান মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পদকপ্রাপ্ত এই সাংবাদিক-লেখক রাহাত খান দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক থেকে অবসর নিয়েছিলেন কয়েক বছর আগে। এরপর তিনি সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসসের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। রাহাত খানের নামেই তার বন্ধু লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের বহুল পরিচিত ‘রাহাত খান’ চরিত্রটি তৈরি করেন।


ভাষাসৈনিক জাহিদ হোসেন মুসা
ভাষাসৈনিক ও ঝিনাইদহের প্রবীণ রাজনীতিবিদ মো. জাহিদ হোসেন মুসা মিয়া  গত ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর-এ রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি স্ত্রী, ছয় পুত্র, এক কন্যা এবং নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তিনি ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের সময়ে বাংলা ভাষার দাবিতে সোচ্চার হন এবং এ আন্দোলনে যশোর অঞ্চলে নিজেকে যুক্ত করেন। তিনি মওলানা ভাসানীর নির্দেশে ১৯৭৩ ঝিনাইদহ মহকুমার ন্যাপ সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি ১৯৫২-৫৭ পর্যন্ত ঝিনাইদহ মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


হিমেল বরকত
কবি ও অধ্যাপক হিমেল বরকত তার বড় ভাই কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতো খুব অল্প বয়সেই চলে গেলেনÑ ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর। অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নেওয়ার সময় হার্ট অ্যাটাক হয় হিমেল বরকতের। পরে তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে। সেখানে আরও দুইবার হার্ট অ্যাটাক হয় তার। পরদিন ২২ নভেম্বর ভোর ৪টায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর পর ফেসবুক আর গণমাধ্যমে দেখা যায় তরুণ  এই অধ্যাপকের শিক্ষক হিসেবে বিপুল গ্রহণযোগ্যতা তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ে এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষের হৃদয়ে রয়েছে তার জন্য অপার ভালোবাসা।


মনজুরে মওলা
বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক, কবি ও প্রাবন্ধিক মনজুরে মওলা মারা গেছেন গত ২০ ডিসেম্বর ২০২০। বাংলা একাডেমিতে তার অসামান্য কীর্তি ‘ভাষাশহীদ গ্রন্থমালা’র ১০১টি বই। এমন অনেকে এই সিরিজে লিখেছেন, যারা পরে এ সব বিষয়ে অর্জন করেছেন বিশেষ পরিচিতি। প্রশাসক-গবেষক-সম্পাদক-অনুবাদক-কবি মনজুরে মওলা লিখেছেন দুটো কাব্যনাট্য-আমি নই’ ও ‘জালিয়ানওয়ালাবাগ’। রবীন্দ্র-বিষয়ে তার অসাধারণ এক কীর্তি গ্রন্থমালা সম্পাদক হিসেবে তারই পরিকল্পনায় রবীন্দ্রসার্ধশতবর্ষে রবীন্দ্রবিষয়ক ১৫১টি বই প্রকাশ। সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ‘দশমী’ বইটিকে কেন্দ্র করে ‘নষ্ট নীড়’ নামে বই লিখেছেন মনজুরে মওলা। অনুবাদ করেছেন ইবসেনের নাটক ‘ব্র্যান্ড’, এলিয়টের ‘সুইনি’ ও ‘দ্য রক’, ‘গির্জায় খুন’। এলিয়ট অনুবাদের পাশাপাশি তার ব্যাখ্যাভাষ্যও করেছেন সমান গুরুত্বে। একসময় মনজুরে মওলা সম্পাদনা করতেন ‘শ্রাবণ’ নামের উঁচু মানের সাহিত্যপত্র।


আবুল হাসনাত

কবি, লেখক, শিল্প-সমালোচক ও সম্পাদক আবুল হাসনাত ২০২০ সালের ১ নভেম্বর শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন। তিনি মৃত্যুর আগঅবধি শিল্প-সংস্কৃতিবিষয়ক পত্রিকা ‘কালি ও কলম’-এর সম্পাদক ছিলেন। এদেশের প্রগতিশীল  শিল্প চর্চায় তিনি অগ্রপথিক ছিলেন। তার এ প্রয়াণে শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গন হারালো এক দুঃসাহসী সম্পাদক এবং স্বজন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।


হায়দার আনোয়ার খান জুনো
হায়দার আনোয়ার খান জুনো গত ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক, বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি, কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের সমন্বয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আনোয়ার খান জুনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স ও এমএ করেন। তিনি বাংলায় পদার্থ বিজ্ঞানের ওপরে বই ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ওপর শিবপুরের রণাঙ্গন, ঊনসত্তরের দিনগুলো এবং একটি উপন্যাস লিখে গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।


অধ্যাপক আলী আসগর
লেখক-অধ্যাপক আলী আসগর গত ২০২০ সালের ১৬ জুলাই মারা যান। তিনি ২০১২ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশে বিজ্ঞানচর্চা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। গবেষণা ও শিক্ষকতার পাশাপাশি বিজ্ঞান ক্লাব গড়ে বিজ্ঞানচর্চার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।


মান্নান হীরা
মান্নান হীরা একজন নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি ২০০৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশে পথ নাটক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। তার লেখা উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ লাল জমিন, ভাগের মানুষ, ময়ূর সিংহাসন, সাদা-কালো ইত্যাদি। মূর্খ লোকের মূর্খ কথা মান্নান হীরা রচিত ও নির্দেশিত অন্যতম পথনাটক। ২০১৪ সালে তিনি সরকারের অনুদানে শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ তৈরি করেন। তিনি গত ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর মারা যান।


দেবেশ রায়
কথাসাহিত্যিক দেবেশ রায় গত ১৪ মে, ২০২০ মারা যান। দেবেশ রায়ের জন্ম ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলায়, অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পাবনা জেলার বাগমারা গ্রামে। ‘তিস্তা পারের বৃত্তান্ত’ উপন্যাসটির জন্য তিনি ১৯৯০ সালে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান সাহিত্য একাডেমি পুরস্কারে সম্মানিত হন। বাংলা সাহিত্যে তিনি একজন ছকভাঙা আধুনিক ঔপন্যাসিক হিসাবে পরিচিত।


নিমাই ভট্টাচার্য

‘মেমসাহেব’ খ্যাত ঔপন্যাসিক এবং সাংবাদিক নিমাই ভট্টাচার্য গত ২৫ জুন ২০২০ সালে মারা যান। নিমাই ভট্টাচার্য ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন যশোর জেলার মাগুরা মহকুমার (বর্তমান জেলা) শালিখা থানার অন্তর্গত শরশুনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিন বছর বয়সে তিনি মাতৃহীন হন। দেশ ভাগের পর তিনি পূর্ববঙ্গ থেকে পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ী হন। অতঃপর তিনি কলকাতার টালিগঞ্জের শাশমল রোডের বাসায় বসবাস করতেন। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৫০-এর অধিক। বাংলা সাহিত্যে মেমসাহেব উপন্যাসটি তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রচনা। মেমসাহেব গ্রন্থ অবলম্বনে ১৯৭২ সালে একই নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। এতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার এবং অপর্ণা সেন।


অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত
অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত একজন বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও চিন্তাশীল প্রাবন্ধিক। রচনার প্রাচুর্য এবং বৈচিত্র্যে, মনীষা এবং সংবেদনশীলতায় তিনি বাংলাসাহিত্যের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। ২০টিরও বেশি কবিতার বই লিখেছেন, বাংলা ও সাঁওতালি কবিতা ও নাটক ইংরেজি এবং জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছেন পাশাপাশি জার্মান ও ফরাসি সাহিত্য থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন। তিনি বেশ কয়েকটি প্রবন্ধের বই প্রকাশ করেছেন। স্বতন্ত্র গদ্যশৈলীর জন্য তিনি সুপরিচিত। তিনি ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর জার্মানির হির্শবার্গ শহরে ৮৭  বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।


সুধীর চক্রবর্তী

সুধীর চক্রবর্তী অধ্যাপক, লেখক, গবেষক এবং লোকসংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ। বাংলার লোকগান, লোকভাষাকে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বদুয়ারে। সুধীর চক্রবর্তীর জন্ম ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার শিবপুরে ১৯৩৪ সালে। তিনি তার বাবা-মায়ের নবম ও কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন। সে সময় জাপানি বোমার ভয়ে পরিবার নিয়ে নদিয়ার দিগনগরে তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে যান বাবা-মা। পরে যান কৃষ্ণনগরে। ছোট থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো ছিলেন। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে তার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ সমাপ্ত হয়। গবেষণা করেছেন লোকধর্ম, লোকমাতা, লালন, বাংলা কাব্যগীতি, সংস্কৃতি-নৃতত্ত্ব নিয়ে। গুণী এই মানুষটি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গত ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর।


পার্থপ্রতীম কাঞ্জিলাল
কবি পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলাল  গত ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মারা যান। ৭০ দশকের বিশিষ্ট এই কবির বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। নিভৃতচারী এই প্রচারবিমুখ কবি লোকচক্ষুর অন্তরালেই জীবনযাপন করতেন। তার  প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘দেবী’ প্রকাশ পায় ১৯৭০ সালে। স্বতন্ত্র ভাষাভঙ্গির জন্য প্রকাশের পরপরই তৎকালীন পাঠকমহলে আলোড়ন ফেলে দেয় কাব্যগ্রন্থটি। এ ছাড়া তার সম্পাদিত পত্রিকা ‘আকাশ’ (১৯৬৬) ও ‘অন্ধযুগ’ (১৯৭৩-৭৪)।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //