করোনার ধাক্কায় বেসামাল গণমাধ্যম

৮ মার্চ ২০২০। দিনটি বাংলাদেশের জন্য দুঃখজনকভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে দীর্ঘকাল। এইদিন বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রথম আঘাতটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলো সরকারের তরফে; কিন্তু এটি অনুমেয় ছিল আরও আগ থেকেই, অপেক্ষা ছিল শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। তবুও এমন একটি ঘোষণায় পুরো দেশ যেন থমকে গেল। 

আর গণমাধ্যম! পৃথিবী যতই থমকে যাবে গণমাধ্যম ততই তৎপর হবে এটিই নিয়ম। নয়তো পৃথিবীকে সচল করা সহজ হবে না। গণমাধ্যম তথ্য দেয়। গণমাধ্যম সচেতনতা বাড়ায়। গণমাধ্যম অহেতুক ভয়কে হ্রাস করে নাগরিকদের দায়িত্বশীল হতে কার্যকর ভূমিকা রাখে একদম সম্মুখভাগে থেকে। এটিই আসলে গণমানুষের মাধ্যমের চরিত্র, এটিই গণমাধ্যম। তবে গণমাধ্যমের সক্রিয়তার মধ্যেও তাদের কর্মীরা পাননি পর্যাপ্ত সুরক্ষা। অন্য অনেক কিছুর মতোই এখানেও অবহেলা ছিল পরিষ্কার। ফল- যা হওয়ার তাই হলো। 

৩ এপ্রিল ২০২০। এই দিনটিও স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জন্য। এই দিন প্রথম খবর আসে বাংলাদেশের একজন গণমাধ্যমকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মুহূর্তেই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে মিডিয়াপাড়ায়। সবার মধ্যেই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয় আরও যেন চেপে বসে। এমনিতেই বেতন-ভাতা এবং চাকরির নিশ্চয়তা নিয়ে নিত্য চাপে থাকে গণমাধ্যমকর্মীরা, তার ওপর নতুন করে জেঁকে বসল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়। এই ভয় একটু বেশিই ব্যতিক্রম কারণ শুধু নিজেরা নয়, গণমাধ্যমকর্মীরা হুমকি হয়ে গেলেন নিজ নিজ পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্যও। ফলে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, আক্রান্ত গণমাধ্যমকর্মীদের বেশিরভাগই আক্রান্ত হন পরিবারের এক বা একাধিক সদস্যকে নিয়ে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরো পরিবারই আক্রান্ত।

ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পরপরই গণমাধ্যমগুলো যে বিষয়টিকে ফোকাস করে সবচেয়ে বেশি সংবাদ পরিবেশন করেছেন, তা হলো- বৈশ্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশের দুর্বল প্রস্তুতির বিষয়টি। সত্যিই পৃথিবী যখন করোনাভাইরাসের ধাক্কায় হিমশিম খাচ্ছে, তখনো বাংলাদেশ ছিল পৃথিবীর গুটিকয় সচল দেশের একটি। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এবং করণীয় নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ সময় পেয়েছিল কমপক্ষে তিন মাস। কথা সত্যি; কিন্তু এবার একটু আপন আয়নায় বদন দেখা জরুরি নয় কি? 

বাংলাদেশের গণমাধ্যমও তো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এবং নিজেদের করণীয় নির্ধারণের জন্য একই সমান সময় পেয়েছিল। কোনো কার্যকর প্রস্তুতি আমরা দেখেছি কি? উল্লেখ করার মতো প্রস্তুতি দেখা যায়নি। হাতেগোনা কিছু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান এবং কর্মীদের সুরক্ষার জন্য কিছুটা ব্যবস্থা নিয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা। শুধু একটি সংবাদপত্র তাদের কর্মীদের জন্য কিছু লিখিত নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানা যায়; কিন্তু আমরা সামগ্রিকভাবে কোনো সম্মিলিত উদ্যোগ দেখিনি। অথচ আমাদের কাছে সুযোগ ছিল পৃথিবীর অন্যান্য দেশের গণমাধ্যমগুলো কি করছে, সেটি জেনে তার আলোকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করার। আমাদের সংগঠনগুলো- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (দুই অংশ), দেশজুড়ে থাকা সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এবং বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন- অবশ্যই এই দুর্যোগে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারতো। 

এই সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধি, তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মিলে অবশ্যই একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করতে পারতেন- কীভাবে এই করোনাকালে গণমাধ্যমকর্মীরা কাজ করবেন; কিন্তু তার কিছুই হয়নি। এমনকি পৃথিবীর বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন করোনাকালীন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত এবং কাজের ধরণ সম্পর্কে যেসব গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে, তা সংগ্রহেও কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। অথচ আমরা উল্টো দেখেছি, প্রতিষ্ঠানগুলো কোথাও থেকে সৌজন্য হিসেবে সুরক্ষাসামগ্রী পাওয়া যায় কি-না, সেই চেষ্টাও করেছে, যা চূড়ান্তভাবেই প্রমাণ করে আমাদের গণমাধ্যমের মালিক ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এই পরিস্থিতির ভয়াবহতা সঠিকভাবে অনুমান করতে পারেননি অথবা ব্যর্থ হয়েছেন।

ফলে দেখা যায়, এপ্রিলের ৩ তারিখ থেকে পরের ৯ মাসে প্রায় সাড়ে এগারোশ’ সংবাদকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বা এর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন অন্তত ৪৪ জন গণমাধ্যমকর্মী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক গণমাধ্যমকর্মীদের স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ ‘আমাদের গণমাধ্যম-আমাদের অধিকার’ জানায়, ইতিমধ্যে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের দুই শতাধিক গণমাধ্যমের কর্মীরা নানাভাবে ভাইরাসটির সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই আক্রান্ত হয়েছেন পরিবারের এক বা একাধিক সদস্যসহ।

গত ২৯ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে সময়ের আলোর নগর সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খোকনের মৃত্যু হয়। করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে আরও রয়েছেন প্রবীণ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মনিরুজ্জামান, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, এনটিভির অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান মোস্তফা কামাল সৈয়দ, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বার্তা সম্পাদক আবদুল্লাহ এম হাসান, কক্সবাজার প্রতিনিধি আব্দুল মোনায়েম খান, বগুড়ার উত্তরকোণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, সাপ্তাহিক আজকের সূর্যোদয় পত্রিকার সম্পাদক খন্দকার মোজাম্মেল হোসেন, দৈনিক যুগান্তরের মালিক নুরুল ইসলাম বাবুল, সময়ের আলোর সিনিয়র সাব এডিটর মাহমুদুল হাকিম অপু, দৈনিক ভোরের কাগজের ক্রাইম রিপোর্টার আসলাম রহমান, বাংলাদেশের খবরের প্রধান আলোকচিত্রী মিজানুর রহমান খান, দৈনিক বগুড়া পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ওয়াসিউর রহমান রতন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সিনিয়র সাংবাদিক সুমন মাহমুদ এবং ফেনীর স্থানীয় সাপ্তাহিক হকার্সের প্রকাশক ও সম্পাদক নূরুল করিম মজুমদারসহ অন্যরা। 

যদিও ব্যাপক আক্রান্তের জেরে আমাদের গণমাধ্যমগুলো এবং সাংবাদিক সংগঠনগুলো নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তবুও জেনেভাভিত্তিক এনজিও প্রেস ইমব্লেম ক্লাবের তথ্যমতে, বৈশ্বিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়- করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যায় বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।

বাংলাদেশের তুলনায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এই মৃত্যু এড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে মিডিয়াগুলোর পেশাদারিত্বের মানসিকতার মাধ্যমে। যখন যে পরিস্থিতি বিরাজমান থাকবে তার আলোকে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারাই যে সর্বোচ্চ আধুনিকতা, এটি পৃথিবীর নামকরা গণমাধ্যমগুলো তাদের পেশাদারিত্বের মাধ্যমে প্রমাণে সক্ষম হয়েছে।

করোনায় চাকরিচ্যুতি

আমাদের গণমাধ্যম-আমাদের অধিকারের তথ্যমতে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত কমপক্ষে পাঁচ হাজার গণমাধ্যমকর্মী নানাভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এর মধ্যে কমপক্ষে আটশ’ গণমাধ্যমকর্মী সরাসরি চাকরিচ্যুতি ও ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন। চাকরিচ্যুতি, স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা, বেতন কমিয়ে দেওয়া, বেতন বকেয়া এবং ভেঙে ভেঙে বেতন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে এবং এখনো ঘটছে বেশিরভাগ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে। এই তালিকায় এমন অনেক গণমাধ্যমের নাম এসেছে, যারা অবশ্যই বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক অবস্থায় রয়েছে। করোনাকালে অধিকাংশ গণমাধ্যমকর্মী বঞ্চিত হয়েছেন উৎসব ভাতা থেকেও। এরই মধ্যে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে। তারা সাংবাদিকদের ছাঁটাই করে কম বেতনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে, এমনকি স্বল্প বেতনে নিয়োগ দিয়েছে নবীশ সংবাদকর্মীকেও।

প্রকাশনা ও সম্প্রচার চ্যালেঞ্জ

করোনাকালে কমপক্ষে ছয়টি পত্রিকা তাদের ছাপা সংস্করণ স্থায়ী অথবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। একটি টেলিভিশন সংবাদ বিভাগ বন্ধ করে দিয়েছিল সাময়িকভাবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে সংবাদপত্রগুলোর সার্কুলেশন হ্রাস পেয়েছিল মারাত্মকভাবে। খবরের কাগজ থেকে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে- এমন ভয়ে লাখ লাখ গ্রাহক বাসা ও অফিসে সংবাদপত্র রাখা বন্ধ করে দেন। এটি সংবাদপত্র শিল্পের জন্য ছিল চরম ধাক্কা। এরই প্রেক্ষাপটে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) একটি বিবৃতি দেয়। 

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ছাপা সংবাদপত্রের কাগজে করোনাভাইরাস টিকে থাকার কোনো তথ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পাওয়া যায়নি। করোনাভাইরাস সংক্রমিত এলাকা থেকে আসা কোনো মোড়ক গ্রহণ করা নিরাপদ কি-না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, সংক্রমিত ব্যক্তির মাধ্যমে বাণিজ্যিক পণ্য দূষিত হওয়ার আশঙ্কা কম। বিবিধ তাপমাত্রায় বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করা পণ্যবাহী মোড়ক থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও যৎসামান্য। যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানায়, কাগুজে পত্রিকার মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ানোর শঙ্কা নেই।

মামলা, হামলা ও হয়রানি

করোনাভাইরাসের এই সংকটকালে যখন নিজেদের বেতন-ভাতার নিরাপত্তা নিয়ে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হিমশিম খাচ্ছিল গণমাধ্যমকর্মীরা, সে সময়ও থেমে থাকেনি তাদের ওপর নানারকম রাষ্ট্রীয়, রাজনৈতিক ও পেশি শক্তির হয়রানি। করোনাভাইরাস মহামারি চলার সময়ে ত্রাণসামগ্রী চুরি ও আত্মসাতের খবর প্রচার করেও অনেক সাংবাদিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ অন্যান্য আইনে মামলার শিকার হয়েছেন। মামলার শিকার এই সাংবাদিকদের অনেকে পালিয়ে বেড়িয়েছেন দীর্ঘদিন। আদালতের কার্যক্রম না থাকায় জামিনের চেষ্টাও করতে পারেননি অনেকে। 

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২০২০ সালে মুক্ত সাংবাদিকতায় আরও এক ধাপ পিছিয়ে গেছে। ৩ মে মুক্ত সাংবাদিকতা দিবস উপলক্ষে তাদের দেওয়া প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫১। দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই তালিকায় পাকিস্তান (১৪৫) ও আফগানিস্তানের (১২২) অবস্থানও বাংলাদেশের ওপরে। ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের অবস্থান যথাক্রমে ১৪২, ১২৭ ও ১১২। আর ৬৭ নম্বরে থাকা ভুটান রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে। এরপর মালদ্বীপ ৭৯তম অবস্থানে। এটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপর দমন-পীড়নের প্রতিচ্ছবি পরিষ্কারভাবে তুলে ধরে। 

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য মতে, ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) কার্যকর রয়েছে। আর্টিকেল ১৯-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২২ জুন পর্যন্ত এই আইনে মোট মামলা হয়েছে ১০৮টি। এই সব মামলায় মোট আসামি ২০৪ জন। তাদের মধ্যে সাংবাদিক ৪৪ জন, আর অন্যান্য পেশায় কর্মরত ও সাধারণ মানুষ ১৬০ জন। এ হিসাবে প্রায় ২৫ ভাগ আসামিই হলেন সাংবাদিক। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৯, মার্চে ১৩, এপ্রিলে ২৪, মে মাসে ৩১ এবং জুন মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত ২১টি মামলা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //