পূজার ছুটিতে ঘুরে আসুন চট্টগ্রামের ৫ সৈকত

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এই উৎসবকে ঘিরে অনেকেই নানান পরিকল্পনা করে থাকেন। এই পূজার ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন চট্টগ্রামের পাঁচ সমুদ্র সৈকতে। 

বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত: সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বাঁশবাড়িয়া বাজার। বাজারের মধ্য দিয়ে সরু পিচ ঢালা পথে ১৫ মিনিটে পৌঁছানো যায় বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র উপকূলে। এই সমুদ্র সৈকতের মূল আকর্ষণ হলো, প্রায় আধা কিলোমিটারের বেশি সমুদ্রের ভেতর হাঁটা যায়। ঝাউ বাগানের সারি সারি ঝাউ গাছ ও নতুন জেগে ওঠা বিশাল বালির মাঠ, সব মিলিয়ে এ এক অপূর্ব সৌন্দর্যের পরশ এখানে পাওয়া যাবে।

আকিলপুর সমুদ্র সৈকত: সুনীল আকাশের নয়নাভিরাম দৃশ্য, পাথরের বুকে আছড়ে পড়া ছোট ছোট ঢেউয়ের শব্দ আর চারপাশের সবুজ আবহে নির্মল প্রশান্তির এক সুন্দর জায়গা হলো আকিলপুর সমুদ্র সৈকত। এই সৈকতটি সম্পর্কে পর্যটকরাও তেমন জানে না। তবে দিন দিন এই সৈকতের পরিচিতি বাড়ছে। বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত থেকে বেড়িবাঁধ ধরে দক্ষিণ দিকে এক কিলোমিটার এগিয়ে গেলেই আকিলপুর সমুদ্র সৈকতের দেখা মিলবে। 

কাট্টলী সমুদ্র সৈকত: চট্টগ্রাম শহর থেকে কিছুটা দূরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় এটির অবস্থান। সৈকতটির আরেক নাম হচ্ছে জেলেপাড়া সমুদ্র সৈকত। জেলেপাড়ার ব্যস্ততায় মুখর একটা জায়গা! জেলেদের কেউ জাল বুনছে, কেউ নৌকা মেরামত, কেউ মাছ ধরা ও বিক্রি, কেউ আবার মাছ শুকিয়ে শুঁটকি বানানোর কাজে ব্যস্ত। সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করাসহ বনভোজন করারও সুযোগ রয়েছে এখানে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থক্ষেত্র হিসেবে এ সৈকতের খ্যাতি রয়েছে। প্রতিবছর ২ চৈত্র বারুণী স্নান হয়ে থাকে। 

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত: সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত। স্থানীয়দের কাছে এই সৈকত মুরাদপুর বিচ নামে পরিচিত। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে গুলিয়াখালী বিচের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। অনিন্দ্য সুন্দর গুলিয়াখালী সৈকতকে সাজাতে প্রকৃতি কোনো কার্পণ্য করেনি। গুলিয়াখালী সৈকতকে ভিন্নতা দিয়েছে সবুজ গালিচার বিস্তৃত ঘাস। সবুজ ঘাসের এই মাঠে প্রাকৃতিকভাবেই জেগে উঠেছে আঁকাবাঁকা নালা। এইসব নালায় জোয়ারের সময় পানি ভরে ওঠে। চারপাশে সবুজ ঘাস আর তারই মধ্যে ছোট ছোট নালায় পানি পূর্ণ এই দৃশ্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। চাইলে জেলেদের নৌকায় সমুদ্রে ঘুরে আসতে পারেন। এ ছাড়াও ক্যাম্পিং করে রাতে থাকা যায় এখানে।

খেজুরতলা সমুদ্র সৈকত: চট্টগ্রাম শহরে যে কয়টি সুন্দর সৈকত আছে তার মধ্যে খেজুরতলা অন্যতম। তবে সৌন্দর্য দেখতে হলে যেতে হবে খুব ভোরে বা পড়ন্ত বিকেলে। বাঁধের পাথরে বসে আড্ডা দিতে পারেন কিংবা সবুজ ঘাস-বিছানো তীর ধরে হাঁটতে হাঁটতে উপভোগ করতে পারেন আশেপাশের জেলেপাড়ার জনজীবন। সন্ধ্যার পর সাগরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জেলে নৌকোর টিমটিমে আলো আর দূর সমুদ্রে জাহাজগুলোর সোডিয়াম আলো দেয় অন্যরকম আবহ। চট্টগ্রাম শহর থেকে স্টিলমিল বাজারে এসে ইজিবাইক কিংবা রিকশাওয়ালাকে বললেই খেজুরতলা সৈকতে নিয়ে যাবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //