আগামী বছর থেকে বিশ্বজুড়ে শিশুদের জন্য জনপ্রিয় ট্যালক-ভিত্তিক বেবি পাউডার উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করতে যাচ্ছে জনসন অ্যান্ড জনসন। যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধের দুই বছরেরও বেশি সময় পর এ ঘোষণা দেওয়া হলো। খবর বিবিসির।
জনসন অ্যান্ড জনসনের এ বেবি পাউডারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা করেছেন নারীরা। তাদের অভিযোগ, এ টেলকম পাউডারে অ্যাসবেস্টস থাকে এবং তাদের ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের কারণ হয়।
কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে বলে, ‘বিশ্বব্যাপী পোর্টফোলিও মূল্যায়নের অংশ হিসেবে আমরা কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক বেবি পাউডার পোর্টফোলিওতে রূপান্তর করার বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
কোম্পানিটি জানায়, কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক বেবি পাউডার ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্রি হচ্ছে।
তবে ১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নথি, বিচারিক স্বীকারোক্তি ও অন্যান্য প্রমাণে দেখা গেছে, জেঅ্যান্ডজের পণ্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত ট্যাল্ক ও বিক্রির জন্য প্রস্তুত পাউডারে মাঝেমধ্যে স্বল্প পরিমাণ অ্যাসবেসটস পাওয়ার বিষয়টি মেনে নিয়েছে।
এই অভিযোগ গতকাল বৃহস্পতিবার ( ১১ আগস্ট) ফের অস্বীকার করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কয়েক দশকের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর দেওয়া অনুমোদন তাদের ট্যালক পণ্যকে নিরাপদ এবং অ্যাসবেস্টস-মুক্ত বলে প্রমাণ করেছে।
২০২০ সালে জনসন অ্যান্ড জনসন বলে, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় তাদের টেলকম পাউডার বিক্রি বন্ধ করবে। কেননা, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে তাদের পণ্যের চাহিদা কমে গিয়েছিল। তখন তারা জানিয়েছিল, তারা যুক্তরাজ্য ও বিশ্বের অন্য দেশে এ পণ্য বিক্রি অব্যাহত রাখবে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ১৩০ বছর ধরে এ বেবি পাউডার বিক্রি করে আসছিল জনসন অ্যান্ড জনসন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : বেবি পাউডার জনসন অ্যান্ড জনসন বিক্রি বন্ধ
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh