সোমবার পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ

১০ বিস্ময়কর তথ্য

বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। আগামীকাল সোমবার (৮ এপ্রিল) মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা অতিক্রম করবে এটি। পরে উত্তর আমেরিকা ঘুরে যাবে এ পূর্ণ সূর্যগ্রহণ। মহাজাগতিক এ ঘটনা ঘিরে যুগ যুগ ধরে নানা কথা রটেছে। তবে এখনকার বিজ্ঞান অনেক কুসংস্কার ভেঙে দিয়েছে।

বিবর্তনের শুরু থেকে পৃথিবী জুড়ে সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে রয়েছে হাজারো জনশ্রুতি, কল্পকাহিনি ও কুসংস্কার। আমাদের দেশে অনেকে বলেন, গর্ভাবস্থায় কোনো নারী সূর্য অথবা চন্দ্রগ্রহণের সময় যদি কিছু কাটাকাটি করেন তাহলে গর্ভের সন্তানের নাকি অঙ্গহানি হয়। আসলে এগুলোর সবই এক'শ ভাগ কুসংস্কার। আসলে প্রকৃতির এক অনন্য, অনবদ্য ও খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা হচ্ছে এই সূর্য অথবা চন্দ্রগ্রহণ। এখানে ভিত্তিহীন গল্পগাথা বা কুসংস্কারের কোনো জায়গা নেই।

পৃথিবী ও চাঁদ একটি নির্দিষ্ট নিয়মে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে এবং এর ফলে সূর্যের বিপরীতে পৃথিবী এবং চাঁদের অবস্থান প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তন হতে হতে চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী যখন একটি নির্দিষ্ট ফ্রেমে অবস্থান নেয় তখনই হয় সূর্য অথবা চন্দ্রগ্রহণ। চাঁদ যখন সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে আসে, সূর্য তখন চাঁদের ওপর সরাসরি আলো ফেলে। এর ফলে চাঁদের ছায়া সোজা গিয়ে পড়ে পেছনে থাকা পৃথিবীর ওপর। পৃথিবীর যে অংশে চাঁদের এই বিশাল ছায়া পড়ে, দিনের বেলাতেই সেই অংশ অন্ধকার হয়ে যায়। আর ওখান থেকে সূর্যের দিকে তাকালে মনে হবে যে সূর্য অন্ধকারে মিলিয়ে যাচ্ছে।

আসলে সূর্য অন্ধকারে মিলিয়ে যাচ্ছে না বা কোনো রাক্ষসও সূর্যকে গিলে ফেলছে না। প্রকৃতপক্ষে এখানে চাঁদ সূর্যের বরাবর আসায় সূর্য চাঁদের আড়ালে চলে যায়। চাঁদের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে কখনো চাঁদ পুরোপুরি অথবা কখনো আংশিকভাবে সূর্যকে আড়াল করে। একেই আমরা যথাক্রমে পূর্ণ ও আংশিক সূর্যগ্রহণ বলি।

এবারের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ নিয়ে বিস্ময়কর ১০টি তথ্য

১. এবারের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ শুরু হবে প্রশান্ত মহাসাগরে আর শেষ হবে আটলান্টিকে।

২. মেক্সিকোতে সর্বকালের দীর্ঘতম সময় ধরে সূর্যগ্রহণ উপভোগ করা যাবে। এই সময় হতে পারে চার মিনিট এবং ২৯ সেকেন্ড।

৩. শেষ সূর্য গ্রহণের চেয়ে এবারের গ্রহণের পথ ধরে বিভিন্ন জায়গায় বেশি মানুষ বাস করবে।

৪.  সূর্যের একটি লুকানো অংশ প্রকাশ করবে।

৫. সূর্য তার নাটকীয় সৌরবলয়ের সবথেকে কাছাকাছি আসবে। 

৬. দুইটি গ্রহ এবং একটি ধূমকেতুও দেখা যেতে পারে।  

৭. সূর্য গ্রহণের ফলে ৩৬০ ডিগ্রি সূর্যাস্ত হতে পারে।

৮. গ্রহণ যতই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছবে বাতাস তত শীতল হয়ে উঠবে। আকাশের উজ্জ্বলতা ম্লান হয়ে পড়বে।

৯. প্রাণীরাও সূর্যগ্রহণে প্রতিক্রিয়া দেখাবে। মৌমাছিরা গুঞ্জন বন্ধ করে দেবে। পাখিরা শিস বাজাবে না। পোকামাকড় কিচিরমিচির শুরু করবে।

১০. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী পূর্ণ সূর্য গ্রহণের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //