গুপ্তচরের ভূমিকায় চীনা টেক জায়ান্টরা!

খুব বেশি দিন আগের কথা নয়- যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইর পরিচালক ক্রিস্টোফার রে এক সেমিনারে বলেছিলেন, তারা প্রতি ঘণ্টায় অন্তত একটি সম্ভাব্য গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনা খুঁজে পাচ্ছেন, যার সঙ্গে চীনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এ বিবাদ বহু পুরনো। তথ্য চুরির বিষয় নিয়ে সম্প্রতি দুইদেশের গোয়েন্দা সংস্থার উত্তেজনা আরও চরমে পৌঁছেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে চীনকে এ নিয়ে কড়া নজরদারিতে থাকতে হয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম পরিচালনা করা চীনা কোম্পানিগুলো সন্দেহের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে। এমনকি ক্ষমতা থেকে বিদায়ের মাত্র কয়েক দিন আগে গত ৭ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে সই করে তিন চীনা কোম্পানি চায়না মোবাইল লিমিটেড, চায়না টেলিকম লিমিটেড এবং চায়না ইউনিকম হংকং লিমিটেডকে মার্কিন পুঁজি বাজার থেকে বাদ দিতে বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে নিতে চীনা কোম্পানিগুলো বেইজিং প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সহচর হয়ে উঠেছে। 

সম্প্রতি মূলত দুটি দিককে কেন্দ্র করে গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের টানাপড়েন আরও বেড়েছে। একদিকে নিজেদের প্রতি ক্রমে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা বেইজিং এবং অন্যদিকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তায় চীনকে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। আর এ দুটি ইস্যুর কারণে চীনের গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে আরও সন্দিহান ও তৎপর হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত এক দশক ধরে চীন কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের গোপনীয় তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে এবং এর প্রভাব সম্পর্কে ওয়াশিংটনের বেশ কয়েকজন সাবেক গুপ্তচর এবং জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা এক সাক্ষাৎকারে বর্ণনা করেছেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগের তিনজন সাবেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালের দিকে তারা বেশ ভীতিকর একটি বিষয় শনাক্ত করেন। তারা বুঝতে পারেন যে, গোপন তথ্য আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার হচ্ছে। আর এ কাজের সঙ্গে চীন যুক্ত। ওই কর্মকর্তাদের অভিযোগ, নিজ দেশে কথিত শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে ক্ষমতা আরও সুসংহত করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এর বিপরীতে চীনে কাজ করা গুপ্তচরদের হারিয়ে সেখানকার খবরাখবর পাওয়া ওবামা প্রশাসনের জন্য রীতিমতো দুষ্কর হয়ে ওঠে। আর সে সময় চীনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে একের পর এক তথ্য চুরির ঘটনা ঘটিয়ে গেলেও, একইকাজ করতে ওয়াশিংটনকে রীতিমতো গলদ্ঘর্ম হতে হচ্ছিল। 

যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য ফাঁসের জন্য চীনা গুপ্তচরদের নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছিল বেইজিং। ২০১৭ সালের মে থেকে জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ ক্রেডিট রিপোর্টিং কোম্পানি ইকুইফ্যাক্সে বড় ধরনের তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটে। চীনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মির হয়ে হ্যাকাররা এ তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। হ্যাকাররা সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর, বাড়ির ঠিকানা, জন্ম তারিখ, গাড়িচালকের লাইসেন্স নম্বর এবং ক্রেডিট কার্ডের তথ্যের মতো বিপুল পরিমাণ ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি মার্কিন নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।

তবে সব মিলিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া চীনা নীতিমালা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো সরকারের চেয়ে বৈরীভাবাপন্ন। তবে সে সময় ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে চীন-বিষয়ক উপদেষ্টাদের দ্বিধাবিভক্ত থাকতে দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সাবেক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রবার্ট স্পালডিং এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ট্রাম্পের আমলে সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রথম বছরটি আমরা চীন নীতি কেমন হবে, সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক করেই পার করেছি।’ ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি গ্রহণের পর ২০১৮ সালের শুরুর দিকে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ আরও বাড়িয়ে তোলা এবং পররাষ্ট্র বিভাগের এশিয়া পলিসি বিভাগের প্রধান সুসান থর্নটনের প্রস্থানের পর বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হওয়া ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য সহজ হয়ে ওঠে। কারণ থর্নটন এফবিআইর বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং আইন মন্ত্রণালয়ের চীন ইস্যুতে আগ্রাসী রায়ের বিপক্ষে ছিলেন। ফলে থর্নটন থাকা অবস্থায় চীনের বিরুদ্ধে চরম কঠিন মনোভাব দেখাতে পারছিল না ট্রাম্প প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে থর্নটনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা চীনের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে তাদের জাতীয় নিরাপত্তায় মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে বলে উল্লেখ করেন। ট্রাম্পসহ অন্য কর্মকর্তারা জানান, মার্কিন পণ্য ও বাজারে এসব কোম্পানির উপস্থিতি থাকলে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ নতুন মাত্রা পাবে। এমন ধারণার সূত্র ধরে চীনের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ কোম্পানি জেডটিইর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। কোম্পানিটির উৎপাদিত সব ধরনের পণ্য ক্রয়ের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসা থেকে প্রায় ছিটকে পড়ে জেডটিই। পরবর্তী সময়ে চীনের সঙ্গে সমঝোতার কারণে জেডটিইকে এ নিষেধাজ্ঞা থেকে রেহাই দেওয়া হয়। তবে এ জন্য জেডটিইকে বেশ কিছু শর্ত মেনে নিতে সম্মতি দিতে হয়। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ জরিমানা এবং প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম নিয়মিত মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারিতে রাখা। সে সময় ট্রাম্প টুইট করে জানান, ‘চীনের সুবিশাল ফোন কোম্পানি জেডটিইকে পুনরায় ব্যবসার ধারায় ফিরিয়ে আনতে আমি এবং প্রেসিডেন্ট শি একসঙ্গে কাজ করব।’ তবে এরপর খুব বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়নি। চীনের আরেক শীর্ষ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি হুয়াওয়ের বিরুদ্ধেও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

চীনের কোম্পানিগুলোকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের যে সন্দেহ চলছে, তা কিন্তু একেবারেই অমূলক নয়। চীনের সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিই কোন না কোনভাবে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত। দ্য পিপলস লিবারেশন আর্মি দশকের পর দশক ধরে চীনের বিভিন্ন ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর আধিপত্য করে আসছে। এ ছাড়া চীনের গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে দেশটির ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলোর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৭ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি আধিপত্যবাদ আরও জোরদার করেন। তখন বেইজিং একটি জাতীয় গোয়েন্দা আইন তৈরি করে, যেখানে বলা হয়- দেশের গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তা সংস্থার অনুরোধ অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের কাজ করতে হবে। 

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ক্ষমতার শেষের দিকে জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে চীন প্রশাসন এবং তাদের বেসকারি শীর্ষ কোম্পানিগুলোর সম্পর্কের গভীরতা উদ্ঘাটন করতে আরও জোর তৎপরতা পরিচালনার নির্দেশ দেয়। ট্রাম্পের আমলে এসে মার্কিন প্রশাসনের এ তৎপরতা পরিপূর্ণতা লাভ করে। চীনা কোম্পানিগুলোর গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য একের পর এক প্রমাণ জোগাড় করতে থাকে তারা। ট্রাম্পের সময়কার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চীনের বেসকারি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে তাদের সরকারের ‘প্রতিদিন’ যোগাযোগ হয় এমন প্রমাণও রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত ক্ষমতাসীন দলের বাণিজ্যিক শাখা। দলের লক্ষ্য পূরণে তারা অবশ্যই গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে কাজ করে।’ চীনা কোম্পানিগুলোর তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্ষমতার বর্ণনা দিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দাদের মূল অভিসন্ধি বুঝতে বেইজিংয়ের গুপ্তচর সংস্থাগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল তথ্য স্থানান্তর করতে পারে।’

তবে চীনা কোম্পানি ও রাষ্ট্রের মধ্যকার সহযোগিতাপূর্ণ কার্যক্রমও ঝামেলাবিহীন নয়। গোয়েন্দা সংস্থার চাপিয়ে দেওয়া ‘অতিরিক্ত কাজের’ কারণে চীনা কোম্পানিগুলোর ‘অনেক কর্মীই হতাশায় ভোগেন’ বলে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান। সিআইএ’র একজন সাবেক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে চীনের সব শীর্ষ কর্মকর্তারাই জানেন যে, কীভাবে দলের কাছে ব্যর্থ না হওয়া যায়। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলো বেইজিংয়ের গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতাও কামনা করে। ফলে দিন শেষে দেখা যায়, এসব কোম্পানি রাষ্ট্রের অধীনস্তই থেকে যায়।’

গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর আ নিউ আমেরিকান সোসাইটির জ্যেষ্ঠ ফেলো এবং চীন বিশেষজ্ঞ এলসা ক্যানিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘চীনের অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানই সম্ভবত স্বাভাবিক প্রযুক্তি কোম্পানি হতে চায় এবং তারা চীনের এসব আদর্শিক প্রত্যাশা অথবা জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সবসময় তাল রেখে কাজ করতে চায় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘চীনের বেশিরভাগ প্রযুক্তি কোম্পানি সিলিকন ভ্যালির তুলনায় ভিন্ন নয়। তাদের মধ্যকার পার্থক্য হচ্ছে, তারা যেখান থেকে প্রণোদনা পায় তাকে সহযোগিতা করতে হয়।’

সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে চীনের বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে যখন প্রশ্ন করা হয়, তখন তারা এক ধরনের কূটকৌশলের আশ্রয় নেয়। জনসম্মুখে বিশেষ করে যখন ইংরেজিতে এ বিষয়ে কিছু জানতে চাওয়া হয়, তখন তারা এ ধরনের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে চীনা গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে দেশটির বেসরকারি কোম্পানিগুলোর গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ‘অতি গোপনীয় প্রতিবেদনের’ ওপর ভিত্তি তারা জানান, চীনের টেক জায়ান্ট টেনসেন্ট অতি জনপ্রিয় ম্যাসেজিং অ্যাপ উইচ্যাট পরিচালনা করে থাকে। প্রতিষ্ঠার শুরুতে কোম্পানিটির তহবিল দেয় দেশটির নিরাপত্তা-বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তারা আরও বলেন, ‘চীন যখন গ্রেট ফায়ারওয়াল নির্মাণ এবং প্রযুক্তি পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করছিল, তখন এটি ছিল প্রাথমিক বিনিয়োগ।’ তবে এ ধরনের অভিযোগের জবাবে টেনসেন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এটি পুরোপুরি মিথ্যা। ইতিহাস বলে উদ্যোক্তা হিসেবে আমাদের যাত্রা শুরু। আমাদের প্রতিষ্ঠাতারাই এটি প্রতিষ্ঠা করে। এরপর আইডিজি এবং পিসিসিডব্লিউর নাম এসেছে। ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্বচ্ছ মালিকানায় আমরা একটি পাবলিক কোম্পানি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি।’ 

এদিকে, অর্থনৈতিক তথ্য জানতে পরিচালিত গুপ্তচরবৃত্তি চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বহু বছর ধরে সুবিধা দিয়ে আসছে। তথ্য হ্যাক বা অন্য কোনো উপায়ে চুরি করার মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে খুব সহজেই টিকে থাকতে পারে এসব কোম্পানি। এ ক্ষেত্রে মেধাসম্পদ চুরি খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। 

গুপ্তচরবৃত্তি থেকে শুরু করে বাণিজ্য যুদ্ধ- এ ধরনের নানা ইস্যু চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে জটিল থেকে জটিলতর করে তুলেছে। এ সম্পর্ককে সহজ করে তোলা সদ্য ক্ষমতায় আসা জো বাইডেন প্রশাসনের বিদেশ নীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে পূর্বসূরির তুলনায় বাইডেন তুলনামূলক ভিন্ন চীননীতি গ্রহণ করবেন, তাতে খুব একটা সন্দেহ নেই। অবশ্য যে নীতিই গ্রহণ করা হোক না কেন, চীনের টেক জায়ান্টদের সঙ্গে দেশটির সরকারের সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ কাটছে না ওয়াশিংটনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের। প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে, আলিবাবা এবং বাইটড্যান্সের মতো বিশাল সামাজিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্র-বেইজিং সম্পর্কে ক্রমে আরও বেশি প্রভাব বিস্তার করবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

বিষয় : হুয়াওয়ে

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //