মানস চৌধুরীর দুটি গল্প

অভিযাত্রা

‘লেটস বি ফ্রাঙ্ক! অর ইভন ব্লান্ট! আপনি আসলে কী চাইছেন? গোল কী আপনার?’

আমার সামনে বসে থাকা লোকটা প্রশ্নটা করবার সময়ে পিঠখানা কিছুটা সামনে নিয়ে এলো। বসার আরামের চাইতে ও যে প্রশ্নটাতে বেশি মনোযোগী, কিংবা হয়তো আলাপে, সেটা বুঝতে দিতে চেয়েই হয়তো। 

ট্রেনটা ওর পিছন দিকে চলছে। মানে ওর চলাটা পিছন ফিরে। আর ওর ঠিক সামনের আসনেই বসে থাকার কারণে আমি সামনের দিকে যাই। লোকাল ট্রেন। চলে যতটা, দোলে তার থেকে বেশি। সেই দুলুনিটা দারুণ। একা থাকলে ঘুমুতে পারার মতো। আর দু’জনই যে জানালা পেয়েছি সেটার কারণ আমরা একদম গোড়ার স্টেশন থেকে উঠেছি; আর একটা ট্রেন আমরা ছেড়েছি কেবল জানালার পাশে বসব বলে। 

লোকটার সঙ্গে আমার দেখা চার দিন আগে একটা পাড়ার দোকানে। এটা সেটা আচমকা আলাপের মধ্যে সে সাব্যস্ত করে যে আমাদের একটা আলাপ হওয়া দরকার। ও বলছিল অবশ্য আড্ডা। আমি আড্ডা শব্দটা সরাতে বলি। সে রাজি হয়। তখন আমরা দু’জন একমত হই যে এটার নাম আলাপ বা পর্যালোচনা হতে পারে। সেদিন ফিরে যাবার সময় স্কুটারটা স্টার্ট দিয়েও সে আবার জানতে চায় যে আলাপ যদি হয় তাহলে এটার বিষয়বস্তু কী তা ভাবা দরকার। তখন আমি তাকে জানাই যে সে বিষয়বস্তুর টেনশন নিতে চায় না বলেই এটার নাম আড্ডা দিতে চেয়েছিল। তাছাড়া এটার প্রস্তাব যেহেতু তার, তাই বিষয়বস্তুর মাথাব্যথা তার থাকার কথা, আমার নয়। তখন চিন্তিত মুখে সে চলে যাচ্ছিল। আমার মনে হলো, একটা মুখ্য ভূমিকা আমার থাকলে ভাল দেখায়। বা হয়তো এই তথাকথিত বিষয়বস্তুহীন আড্ডার প্রস্তাব দেবার কারণে সে বিবৃতিসমেত বাসায় ফেরে না। কয়েক গজ তার স্কুটার যাবার পর আমি চড়া গলায় বলি, আমরা একটা ট্রেনে চড়তে চড়তে এই পর্যালোচনা করতে পারি। সেটা শুনতে পেয়ে সে আবার স্কুটার ঘুরিয়ে আসে আমার সামনে। এরপর আজকের এই ট্রেনের পরিকল্পনাটা পাকা করি।

ট্রেনের পরিকল্পনা যেমনই হোক না কেন, যেহেতু আমাদের স্টেশনেই অনেক সময় আগে দেখা হয়েছে, আর বসে-থাকা হয়েছে, আর চা-খাওয়া হয়েছে, হাঁটাহাঁটিও হয়েছে, তাই আমাদের এই আলাপ বা পর্যালোচনা আসলে ট্রেন বাস্তবে চালু হবার আগে থেকেই শুরু হয়েছে। কিন্তু স্টেশনের বিস্তর ভিড়, আর কোলাহলের কারণে আমার পক্ষে তাই থাকা সম্ভব হয়েছে যা আমি থাকতে চেয়েছিলাম। কিংবা হয়তো চাইনি; কিন্তু ওভাবেই থাকা হয়ে গেছিল। বিশেষ কিছু না বলেই, হাঁটাহাঁটি করছিলাম। তারপর ট্রেইন ব্যবস্থার দুরাবস্থা কিংবা সম্ভাবনা নিয়ে নিরর্থক কথাগুলোও বলতে পারছিলাম। কয়েক দফা চা খেতে চায় কিনা সে জানতে চাইতে পেরেছিলাম। সেও তার মধ্যে অর্ধেক বার না-খেতে চেয়েও অর্ধেকবার খেতে চাইবার চাপ বহন করতে পেরেছিল। আর আমরা হেঁটে একটা থেকে আরেকটা স্টেশন-দোকানে যেতে পেরেছিলাম। যাবার পথে পত্রিকার স্টলে উদ্দেশ্যবিহীন দাঁড়াতে পেরেছিলাম। এ ছাড়াও পরের ট্রেনটা নির্দিষ্ট সময়ে আসবে কিনা, যেটার উত্তর তার জানা-থাকার কোনোই সম্ভাবনা নেই, সেই প্রশ্নটাও বার দুয়েক করতে পেরেছিলাম। এরকম আরও সব নানান কাজকর্ম। অকাজ-অকর্ম। ফলে যতই সময়ে গেছে লোকটা আলাপ কিংবা পর্যালোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে আর বিশেষ কোনো চর্চা করার সুযোগ পায়নি। তাছাড়া আমার এও মনে হয়েছে যে এখন সে কিছুতেই এটাকে আড্ডা বলতে আর চাইবেও না আর। এসব সুযোগসুবিধা সমেতই ঘণ্টা দুয়েক কাটিয়ে আমরা এই ট্রেনটাতে উঠতে পেরেছি। 

আবার এসব করতে গিয়ে, যেহেতু আমরা এই কড়াকড়িগুলো আগাম ভেবে নিইনি, দু’জনেই সম্ভবত আবিষ্কার করতে পারছিলাম যে সারাটা দিনই আজ আমরা খরচ করতে যাচ্ছি। আমি একবার কিংবা দুইবার এটাও ভাবতে শুরু করেছিলাম বলে মনে পড়ে যে, আমি লোকটার একটা আস্ত দিন খেয়ে ফেলছি। আর সেই খেয়ে-ফেলাতে আমার যথেষ্ট খারাপ লাগা উচিত কিনা ধরনের একটা নীতিনির্ধারণী বা নৈতিক ভাবনা প্রবাহ আমি মাথায় সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছিলাম; কিন্তু আমি দুবারই এই সমাধানে পৌঁছাতে সমর্থ হয়েছিলাম যে প্রথমত সে-ই বরং আমার দিনকে খেয়ে-ফেলতে উদ্যত হয়েছিল। আর তাছাড়া সে-ই এটার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবক। তবে সেজন্য তারও খারাপ লাগার যে দরকার নেই এরকম ভাবনাও আমি মাথাতে প্রশ্রয় দিতে থাকি, আর মনে মনে তাকে এই প্রায়-অহেতু আহ্বান জানানোর জন্য কোনোরকম অভিযোগ না দায়ের করতে সাব্যস্ত করি। কেবল এই আহ্বান-প্রস্তাবকে সে গোড়াতেই আড্ডা নাম দেবার চেষ্টা করাতে আমি আমার নাখোশী একটা লাগাতার অনুভূতি হিসেবে বজায় রাখবার সিদ্ধান্ত রেখেছিলাম। 

আমি যেসব কড়াকড়ি দিয়ে প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনের প্রাথমিক কাল কাটাচ্ছিলাম, কিংবা হয়তো না-কড়াকড়ির মধ্য দিয়ে, তা গুরুতর বিঘ্ন পেল যখন সে এভাবে পিঠটা খানিক সামনে নিয়ে এই প্রশ্নটা করতে পারল। আমার মনে পড়ে প্রশ্নটা, ঠিক এইভাবে না করলেও, সে আগে করেছে। এমনও হতে পারে সে আগে দুইবার করেছে। কিন্তু তখনকার আমার সেসব নিয়ে বিশেষ ভাবিত হবার দরকার পড়েনি। এক্ষণে সে বিশেষভাবে আমাকে না-কড়াকড়ির বা না-বলাবলির চর্চা থেকে ঠেলে সরানোর জায়গায় প্রায় চলে আসতে পেরেছে যে, তা আমি বুঝতে পারি। সম্ভবত সেও এই প্রথমবারের মতো বুঝতে পারে যে আমাকে এতক্ষণে সে সবচাইতে কাছাকাছি নিতে পেরেছে যেটার সে নাম দিতে চেয়েছিল আড্ডা। 

তখন আমার আরাম খানিক বিনষ্ট হয়। কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নিই, অতীব দ্রুতগতিতে, এই অনারামের কারণে আমি তার উপর কুপিত হবো না। তাছাড়া এটাও আমার চকিতে মনে হয় যে কুপিত হলে আসলে চারদিন আগের দেখা হবার পর থেকে আমার যে রূপকল্প, কিংবা হয়তো প্রতিকল্প, তার মনে, কিংবা হয়তো মননে, দানা বেঁধে গেছিল, বেঁধে আছে, তার গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হবে। তাছাড়া এটাও ঠিক যে আমার কোপন বিষয়ক কোনো তদন্তের জন্য এই পর্যালোচনায় সে আসতে উদ্যোগী হয়নি। বরং যাবতীয় ঝামেলাজনক অনুভূতি যাতে না দেখা দেয়, হয়তো সেই সম্ভাবনা নিশ্চিত করার জন্যই সে এই সাক্ষাৎটির নাম আড্ডা দিতে চেয়েছিল। এসব ভাবতেও আমার বিশেষ সময় লাগে না। হয়তো কয়েক সেকেন্ড। কিন্তু ততক্ষণে সে, এই প্রথম আমাকে সংমিশ্রিত করবার নিকটতম কোনো সুযোগে যে এসেছে বুঝতে পেরেই হয়তো, আবার প্রশ্নটার শেষাংশটি করে বসে। 

‘গোল কী আপনার?’ 

‘মানে আমি যা চাইতে থাকি, তা আমার গোল?’ আমি পয়লাবারের মতো উল্লেখযোগ্য কিছু বলি।

‘না তা নয়। আপনি যা চাইতে থাকেন তা হবে আপনার বাসনা, ডিজায়ার।’

‘তাহলে কী বলব?’ 

‘আচ্ছা গোল বাদ দিন। ডিজায়ারই বলুন।’

‘আমি কি সকল সময়ে একরকমেরই চাইতে থাকি?’ 

‘না তা নিশ্চয়ই চান না। কিন্তু ধরুন মানে একটা ধারাবাহিকতা নিশ্চয়ই আছে। সেগুলো থেকে গুছিয়ে তো বলতে পারেন।’

‘ধারাবাহিকতা মানে একটা নির্দিষ্ট সময়কাল ধরে সুসংহতভাবে গড়ে ওঠা?’ 

‘হ্যাঁ হ্যাঁ তাই তো মনে হয়। হ্যাঁ তাই হবে। তাই বলুন বরং।’

‘কতটা সময়কাল?’ আমি জানতে চাই। 

‘তা ধরুন এই কয়েক বছর। আচ্ছা বাদ দিন, এই শেষের কয়েক মাস ধরে আপনি কী চাইছেন- মানে কী কী চাইছেন তার একটা সিলেকশন তো বলতে পারেন।’

‘চাওয়াচাওয়ি যদি ডিজায়ারই হবে, তা কি আর সময়কাল ধরে আগায় নাকি? সেসব তো একটা চকিত মুহূর্তীয় বিষয়, যার জের হয়তো দীর্ঘকাল থাকতে পারে, এমনকি ক্ষয়ক্ষতিও।’

‘হুম তা অবশ্য ঠিকই বলেছেন। আচ্ছা তাহলে এভাবে আগাই আপনি গত কয়েক মাস ধরে যেসব চাওয়া-চাওয়ি করেছেন, আচ্ছা হলো মুহূর্তীয়ই, সেগুলোর কমনগুলোকে একটা তালিকার মতো সাজালেন, তারপর সেই ধারাবাহিকতার মধ্যে রেখে সেটাই বললেন আমাকে। বলুন বরং।’

‘উমম কিন্তু যদি বেশ কিছুদিন ধরে কয়েকটা ভাবনা ধারাবাহিকভাবে আসতে থাকে, বা আমি তা বহন করতে থাকি তাহলে কি তাকে পরিকল্পনা বলবেন না?’ আমি ন্যায্য কারণেই আবার জিজ্ঞাসা করি। 

‘হুম পরিকল্পনাই তো বলা উচিত। তাহলে পরিকল্পনাই বলুন।’

‘কিন্তু আপনি তো গোল বাদ দিয়ে ডিজায়ার জানতে চাইলেন।’

‘আপনি তো বলছেন না কিছুই, অথচ এতরকমের বিষয় ছিল।’ 

‘কই আমি কখন বললাম বিষয় ছিল? বিষয় তো আপনি খুঁজছিলেন।’

‘হুম তাও ঠিক। আচ্ছা তাহলে পরিকল্পনাই বলুন।’

‘আসলে সত্যি বললে, গার্হস্থ্য ফিন্যান্স ছাড়া আমি আর কিছুর তেমন পরিকল্পনা করি না। আর সেটা বিশেষ বলার কিছু নেই।’

‘মানে কী? আমাদের কোনো কথা হবে না? কিছুই চান না আপনি?’ 

‘আচ্ছা আমাদের টিকেটখানা কি ট্রেননির্দিষ্ট? নাকি গন্তব্য নির্দিষ্ট?’

‘না না। আপনি অন্য ট্রেনেও উঠতে পারবেন।’

‘চলেন পরের স্টেশনে নামি।’

‘কেন?’ লোকটা আবার পিঠে হেলান দিয়ে জানতে চায়। 

‘চলেন আবার চা খাই।’ 

বেসুরো

অভি গুণগুণ করে গাইছে গান। আর অর্পিতার চঞ্চল-মুগ্ধ চোখ তাকে অনুসরণ করছে। 

একটু পর অর্পিতা যখন তার স্মার্টফোনখানা হাতে নিয়ে ভুরু নাচাতে নাচাতে বলল ‘তানপুরাতে গাইবেন?’, তখনও অভি ভাবেনি কী ঘটতে যাচ্ছে। অভি নায়কোচিত অর্পিতা-মনোযোগেই থাকল। তাকিয়েই রইল অর্পিতার ফোনখানার দিকে, কিংবা আর আরও নিশ্চিত করে বললে অর্পিতার আঙুলগুলোর দিকে। আঙুলগুলো বেশ ক্ষিপ্রভাবে এ পর্দা থেকে ও পর্দায় গিয়ে স্থির হলো শেষে। অভি গোগ্রাসে সেটাই দেখে। আর তখনই স্মার্টফোনখানা স্থাপন করে অর্পিতার আঙুলগুলো অপসৃত হয়। ফোনটি তানপুরার ছদ্মগলায় ক্যাঁও ক্যাঁও করতে শুরু করে। 

ফোনের গলাতে ক্যাঁও ক্যাঁও নিসৃত হতে শুরু করলে অর্পিতাকে দেখায় উত্তেজিত, আর অভিকে নিষ্প্রভ। যদিও এরকম বিপ্রতীপ মুড হবার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। কিন্তু বাস্তবে তাই ঘটল। উদ্ভাসিত অর্পিতা প্রাণভরে নিমন্ত্রণ জানাল অভিক ‘গান, গান, যেটা ইচ্ছে শুরু করেন।’ নিষ্প্রভ অভি প্রথমেই সামলে উঠে বলে ‘বি-ফ্ল্যাট’? এই প্রশ্নের উত্তর ঠিক দরকার ছিল না অভির। কিন্তু অভি নিশ্চিত করতে চেয়েছে ন্যূনতম কোনো যোগাযোগ। অর্পিতার উচ্ছ্বাসকে সে কদর করতে চায়, আবার এই লাগামহীন উদ্যমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সে পারবে না, সেটাও সে জানে। ‘বি-ফ্ল্যাট’. প্রায় উত্তরের মতো করে প্রশ্নটা করা মাত্রই অর্পিতা চোখ-ভরা হাসি নিয়ে অভির দিকে তাকায়। সেই হাসি অর্পিতার চোখের পাপড়ি বেয়ে দু’এক ফোঁটা নামতে নামতে ওর গালে মাখামাখি হয়ে যায়। আরও কয়েক ফোঁটা বাষ্প হয়ে অর্পিতার ভুরুতে উড়তে থাকে। সমস্ত অর্পিতা একটা বিশাল হাস্যপরী হয়ে ওঠে। 

ঠিক তখনি, হাস্যপরীটাকে থামানোর জন্যই, অভি বলে ওঠে ‘কী. ঠিক বলিনি বি-ফ্ল্যাট?’

এই প্রশ্নটা অহেতু ছিল। হাস্যময়তায় অর্পিতা তখন তানপুরাতে অভিকে কেবল নিমন্ত্রণই করছিল, ওর হাস্যময়তা নেহায়েৎ নিমন্ত্রণ। হোক সে স্মার্টফোন। তবুও তো তানপুরা। 

অভির চৌকষ প্রশ্ন অহেতু অর্পিতাকে হাস্যময়তা থেকে উদ্বাস্তু করে দেয়। নিমন্ত্রণের রাজ্য থেকেও। অর্পিতা এই উদ্বাস্তু হওয়াটা যেন বুঝে ফেলে। এক মুহূর্তে যেন কিন্তু ঠিক বুঝে ফেলে। সে আর্দ্র হয়, উন্মূল হয়। হাস্যহীন হয়, এমনকি নিমন্ত্রণশূন্য হয়। অর্পিতার এই রূপান্তর অভির মনোযোগ এড়ায় না। সকল চৌকসপনার মধ্যেও হয়তো এই মেটামরফসিস অভির কাক্সিক্ষত ছিল। হয়তো খানিক বেদনার্ত, খানিক হয়তো গ্লানিময়, অভি গান ধরে ‘তোমায় আমায় মিলন হবে বলে.....।’

স্মার্টফোনখানা, মানে তানপুরাখানা, দিব্যি মানিয়ে নিচ্ছিল। কিন্তু তখনই অর্পিতা একইরকম চঞ্চল ক্ষিপ্র আঙুলে এ পর্দা- ও পর্দা গিয়ে তানপুরাটা বন্ধ করে দিল। মানে স্মার্টফোনখানা। একবারও অভির দিকে না তাকিয়ে মৃদু কিন্তু দৃঢ় গলায় বলল ‘ভারী বেসুরো তুমি।’  

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //