ভোমরা দিয়ে আসা পেঁয়াজের বেশিরভাগই নষ্ট

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গত তিনদিনে ৯২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে ভারতের রফতানি নিষেধাজ্ঞার কারণে ট্রাক আটকে থাকায় এসব পেঁয়াজের অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে।

গতকাল সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) চারটি ট্রাকযোগে ৯৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর দিয়ে ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করে। এর আগে শনিবার ৩১টি ট্রাকে করে ৭২১ মেট্রিক টন ও রবিবার পাঁচ ট্রাকযোগে ১০৮ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আসে।

আজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যেসব পেঁয়াজের ট্রাকের কাগজপত্র সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিল এমন ৪০টি ট্রাক সোমবার পর্যন্ত ভোমরা বন্দর দিয়ে প্রবেশ করেছে। কিন্তু ট্রাকগুলো ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আটকে থাকায় এসব পেঁয়াজের বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

তিনি বলেন, আরো ছয় ট্রাক পেঁয়াজ ছাড় করানো রয়েছে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে প্রবেশ করবে। এছাড়া এখনো দুই শতাধিক পেঁয়াজবাহী ট্রাক ভারতে আটকে রয়েছে, যার কোনো ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। এর মধ্যে কিছু পেঁয়াজ ফিরে যাচ্ছে আর কিছু পেঁয়াজ সেখানে খালাস করে স্থানীয়ভাবে বিক্রি করে ফেলছেন ব্যবসায়ীরা। এসব পেঁয়াজ রফতানির জন্য প্রস্তুত থাকলেও তা বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না ভারত সরকার।

এ বিষয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মহসিন হোসেন বলেন, গত তিনদিনে বন্দর দিয়ে মোট ৯২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে। আজ আরো কিছু পেঁয়াজের ট্রাক ভারত থেকে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক পঙ্কজ কুমার দত্ত বলেন, গত রবিবার সন্ধ্যায় তার দুই ট্রাক পেঁয়াজ ভোমরা স্থলবন্দরে এসেছে। ঘোজাডাঙ্গায় প্রায় এক সপ্তাহ আটকে থাকায় রোদ ও বৃষ্টিতে এসব পেঁয়াজের বেশিরভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ট্রাক প্রতি চার থেকে পাঁচ লাখ টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে তার। 

কীভাবে এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠবেন বুঝতে পারছেন না তিনি।  

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //