উইম্বলডনে ভিন্নরূপে সানিয়া মির্জা

ভারতের খ্যাতিমান টেনিস তারকা ৩৬ বছর বয়সী সানিয়া মির্জা। চলতি বছরের গোড়ার দিকে টেনিস থেকে অবসর নেন তিনি। তবে এবার উইম্বলডনে ফিরে এসেছেন ভিন্ন আঙ্গিকে।

৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া উইম্বলডনে সানিয়া খেলছেন ইনভাইটেশন ডাবলস ইভেন্টে। ব্রিটেনের জোহান্নার সঙ্গে জুটি বেঁধে কোর্টে নামবেন সানিয়া। ‘বি’ গ্রুপে সানিয়া ছাড়াও রয়েছেন কিম ক্লিস্টার্স, মার্টিনা হিঙ্গিস, ফ্র্যান্সিসকা শিয়াভোনি ও রবার্টো ভিন্সির মতো সাবেক তারকা খেলোয়াড়।

সানিয়া তার ২০ বছরের ক্যারিয়ারে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুবাই ওপেনে শেষ ম্যাচ খেলেছেন। সেই ম্যাচে সানিয়া ও মাডিসন কেইস জুটি ৪-৬ ও ০-৬ সেটে হেরে যান রাশিয়ার লাদমিলা সামসোনোভা ও ভেরোনিকা কাদেরমেতোভা জুটির কাছে। ২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল প্রায় ১০ বছর সানিয়া ছিলেন ভারতীয় টেনিসে এক নম্বর র‌্যাংকধারী খেলোয়াড়। ধ্রুবতারার মতো উত্থান তার। ছয়টা গ্র্যান্ডস্লাম, ৪১টা ডাবলস জয়। অনেক সাফল্য, অনেক ইতিহাস। তারপর হঠাৎ করেই পথচলা থামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। 

নিজের অবসর প্রসঙ্গে একবার বলেছিলেন, “আমি মাথা উঁচু করে টেনিসকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলাম। তাই মনে হলো, এটাই অবসরের ঠিক সময়। জানি, এখনো আমার বড় ম্যাচ জেতার ক্ষমতা রয়েছে। সেই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই শেষ গ্র্যান্ডস্লামে খেলেছি। আসলে আমি ওই পর্যায়ে খেলতে পছন্দ করি। এখনো কেন খেলা ছাড়ছি না, এটা শোনার চেয়ে ‘কেন খেলা ছাড়লেন’ শোনা আমার কাছে অনেক বেশি তৃপ্তিদায়ক। বরাবর আমি কঠিন থেকে কঠিনতর চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেছি। তার জন্য পরিশ্রম, আত্মত্যাগ কম কিছু করতে হয়নি। সেই তাগিদটায় ঘাটতি আসুক চাইনি। তাই মনে হলো, এটাই খেলা ছাড়ার আদর্শ সময়।”

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সানিয়া বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি যদি মেয়ে না হয়ে ছেলে হয়ে জন্মাতাম, তাহলে হয়তো ক্রিকেটই খেলতাম। এমনিতে মনে হয়, ক্রিকেট খেলাটা যেন আর পাঁচটা খেলার থেকে আলাদা।’ টেনিস ছাড়ার পর অবসরের পরবর্তী ক্যারিয়ার হিসেবেও বেছে নেন ক্রিকেটকে। সর্বশেষ নারী আইপিএলের জন্য রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে মেন্টরের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। 

সানিয়া বলেছেন, সাবেক জার্মান তারকা স্টেফি গ্রাফ ছিলেন তার ‘রোল মডেল’। সঙ্গে এটাও মনে করিয়েছেন, তার বেড়ে ওঠার সময়কালে একমাত্র পিটি উষা ছাড়া অন্য কোনো ভারতীয় নারী খেলোয়াড়কে নিয়ে সেই অর্থে আলোচনা হতো না। 

সানিয়ার কথায়, ‘আমার বেড়ে ওঠার সময় যাবতীয় প্রচারটা ছিল স্টেফি গ্রাফকে কেন্দ্র করে। হয়তো সে কারণেই ওকে আদর্শ ভেবে নিয়েছিলাম। আমাদের দেশে সে সময় পিটি উষাকে নিয়েও প্রচুর আগ্রহ ছিল। গোটা উপমহাদেশে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ঘুরত উষার নাম। সে সময় ভারতের কোনো মেয়ে অ্যাথলেট হতে চাইলে উষাকে সামনে রেখেই নিজেদের উদ্বুদ্ধ করত।’

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //