ইউএস ওপেনে যখন এবার খেলতে নামেন এমা রাডুকানু, তখন তার বিশ্ব র্যাংকিং ১৫০। বাছাই তালিকাতেই ছিলেন না তিনি। কোয়ালিফাইং রাউন্ড খেলে সুযোগ পান মূল পর্বে। অথচ ১৭ দিনের ব্যবধানে পাল্টে গেল চিত্র। টুর্নামেন্ট শেষে তার হাতেই শোভা পাচ্ছে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম।
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের আগে এ বছরের উইম্বলডনেই প্রথমবার গ্র্যান্ড স্ল্যামে আবির্ভাব ঘটে এমার। ঘাসের কোর্টে শুরুটা ভালো করেও হতাশাজনকভাবে চতুর্থ রাউন্ডে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জেরে সরে দাঁড়াতে হয় তাকে। ওই সময় তার ভাগ্যে জুটেছিল চাপ সামলাতে না পারার তকমাও। তবে সমালোচকরা দূরে থাক, এমার অনুরাগীরাও হয়তো কেউ ভাবেননি মাত্র দুই মাস পরেই ব্রিটিশ তরুণীকে আর্থার অ্যাশে খেতাব হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাবে।
তবে ক্রীড়া জগতে কোনো দিন প্রত্যাশা মতো কিছু হয় না। মাত্র তিন বছর আগেই উইম্বলডন জুনিয়রের দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিলেন এমা ও লেইলা। ওই ম্যাচের মতো এদিন নিজেদের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামের লক্ষ্যে কোর্টে নামা দুই তরুণীর লড়াইয়েও বাজিমাত করলেন ১৮ বছরের এমা। ৬-৪, ৬-৩ ব্যবধানে জেতেন। কোয়ালিফায়ার থেকে নিজের যাত্রা শুরু করে এমাই প্রথম তারকা হিসেবে ফ্ল্যাশিং মিডোয় খেতাবি লড়াইয়ে নেমেছিলেন।
এদিন গোটা টুর্নামেন্টের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একটিও সেট না খুইয়ে ফ্লাশিং মিডোয় ১০ নম্বর ম্যাচ জিতে খেতাব নিজের নামে করেন এমা। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে শুরুর সময় বিশ্বের ১৫০ নম্বর মহিলা সিঙ্গেলস টেনিস তারকা হিসেবে কোর্টে নামা এমা, কোর্ট ছাড়লেন নিজের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে ২৩ নম্বর টেনিস তারকা হিসেবে। এই ঘটনাই তো প্রমাণ করে, ক্রীড়াজগৎ সত্যিই রূপকথার রচিত, দীর্ঘ দিনের স্বপ্নও বাস্তব হয়।
রাডুকানু শুধু ইউএস ওপেনের ট্রফি জেতেনি, তিনি কোয়ালিফাইয়ার খেলে আসা প্রথম ট্রফিজয়ী। ব্রিটিশ নারী টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে রাডুকানু নতুন করে সাড়া জাগাল ৪৪ বছর পর। ব্রিটিশ নারী টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে তার আগে গ্রান্ড স্ল্যাম শিরোপা (উইম্বলডন) জিতেছিলেন ভার্জিনিয়া ওয়েড, ১৯৭৭ সালে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : এমা রাডুকানু ইউএস ওপেন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh