ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’

গুজরাটে ৯৪০ গ্রাম বিদ্যুৎহীন

১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে আরব সাগরজুড়ে শক্তি সঞ্চয় করার পরে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ আঘাত হেনেছে ভারতের গুজরাট উপকূলে। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ১২৫-১৪০ কিলোমিটার।

প্রবল বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার প্রভাবে রাজ্যের পাঁচ শতাধিক গাছ ভেঙে পড়েছে। এতে অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে প্রায় এক হাজার গ্রাম।

আজ শুক্রবার (১৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার থেকে ১৪০ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে গুজরাটের জাখাউ বন্দরের কাছে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। ঘূর্ণিঝড়টি গুজরাট রাজ্যে আঘাত হানার সময় প্রবল বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়ার সৃষ্টি হয়। 

রাজ্যের কর্মকর্তারা জানান, গুজরাটের বিভিন্ন স্থানে ৫২৪ টির বেশি গাছ এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। প্রায় ৯৪০ গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে রাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে গুজরাটের উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রায় লাখ খানেক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া রাজ্যের জামনগর বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

এদিকে, গুজরাটের ত্রাণ কমিশনার অলোক পান্ডে বলেছেন, আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। গুজরাট জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কাও রয়েছে।

ঝড়ের নজর বর্তমানে পাকিস্তান-কুচ সীমান্তের দিকে। তবে আইএমডির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঝড়টি আগামীকাল দক্ষিণ রাজস্থানে পৌঁছাবে।

এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) শুক্রবার ভোরে বলেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ শুক্রবার সকালের মধ্যে আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। এটি সন্ধ্যার মধ্যে উপকূল ত্যাগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে আরব সাগরজুড়ে শক্তি সঞ্চয় করার পরে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের জাখাউ বন্দরের কাছে ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার থেকে ১৪০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে আছড়ে পড়ে। তবে এর কয়েক ঘণ্টা পরে শক্তি হারাতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড়টি।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //