নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩৪ পিএম
আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩৪ পিএম
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩৪ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩৪ পিএম
ভারতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি তরুণীকে ৭ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে বেঙ্গালুরুর দায়রা আদালত। ভারতের নির্ভয়া ফান্ড থেকে এ অর্থ দিতে বলা হয়েছে। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্ণাটক রাজ্য, এমনকি পুরো ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম স্বদেশীদের হাতে ধর্ষণের শিকার কোন তরুণীকে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিলো আদালত।
২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে কুষ্টিয়ায় টিকটক ব্যবহারকারীদের মিলনমেলায় অংশ নেয়ার কথা এক তরুণীকে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করে টিকটকার হৃদয়। পরে সেখানে কয়েকদিন আটকে রেখে ওই তরুণীকে নির্যাতন ও ধর্ষণ করে হৃদয় ও তার সহযোগীরা। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বেঙ্গালুরুতে।
বেঙ্গালুরুতে নিয়ে তাকে আবারও নির্যাতন ও দল বেঁধে ধর্ষণ করে তার ভিডিও ধারণ করে হৃদয় ও তার সহযোগীরা। পরে ২০২১ সালের ২৭ মে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ঢাকার তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ ওই তরুণীকে শনাক্ত করে। উদঘাটন হয় নির্যাতনকারী বাংলাদেশি যুবক হৃদয়ের পরিচয়।
পরে ওই মাসেই কেরালায় তাকে শনাক্ত করে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভারতের আসাম পুলিশ ভিডিওতে থাকা পাঁচ তরুণের ছবি প্রকাশ করে পুরস্কার ঘোষণা করে। পরে বেঙ্গালুরু পুলিশ ওই ঘটনায় দুই নারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের মামলা হয়।
এরপর ২০২২ সালে মে মাসে ওই তরুণীকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে হস্তান্তর করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
এবার ধর্ষণের শিকার সেই তরুণীকে ৭ লাখ রূপি ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিলো বেঙ্গালুরুর দায়রা আদালত। ভারতের নির্ভয়া ফান্ড থেকে ওই তরুণীকে ৭ লাখ রুপি দিতে হবে বলে আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে ওই তরুণীকে ক্ষতিপূরণের অর্থ বুঝিয়ে দিতে বিভাগীয় আইন সহায়তা কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু ওই তরুণী ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসায় তাকে ভিডিও কলের মাধ্যমে হাজির করে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে অর্থ বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh