বিসিএস হবার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাওয়ায় সড়কের গড়াগড়ি করে কান্না

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৬ পিএম

সড়কের গড়াগড়ি করে কান্না করছেনফাহাদ ফয়সাল। ছবি: রাজশাহী প্রতিনিধি

সড়কের গড়াগড়ি করে কান্না করছেনফাহাদ ফয়সাল। ছবি: রাজশাহী প্রতিনিধি

পরীক্ষা শুরু সকাল ১০টায়, আর আধা ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে ঢুকতে হবে পরীক্ষার্থীকে। নওগাঁ থেকে রাজশাহী পৌঁছে ফাহাদ ফয়সাল যখন কেন্দ্রের সামনে তখন ৯টা ৪০ মিনিট। পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান ফটক বন্ধ। তিনি গেটে পুলিশ সদস্যদের অনুরোধ করেন তাকে ভেতরে ঢোকানোর জন্য কিন্তু তারা রাজি নন। ফটক টপকে ফাহাদ ভেতরে ঢুকলে পুলিশ তাকে বের করে আনে। এ সময় ফাহাদ রাস্তায় মাথা ঠুকে আহাজারি করে বলতে থাকেন, এটা আমার লাস্ট বিসিএস। আমাকে মেরে ফেলেন ভাই।

আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ঘটনাটি ঘটেছে ৪৬ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার রাজশাহীর মসজিদ মিশন একাডেমি কেন্দ্রে। 

সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে মসজিদ মিশন একাডেমির সামনে দেখা যায়, ফাহাদ প্রধান ফটক টপকে ভেতরে ঢুকছেন। তিনি ভেতরে ঢুকে যাওয়ার পর দুইজন পুলিশ তাকে ধরে ফেলেন। এ সময় ফটকের বাইরে থেকে এক নারী ‘ঢুকতে দেন প্লিজ’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। পুলিশ বের করে দেওয়ার পর কাঁদতে কাঁদতে ফাহাদ রাস্তায় শুয়ে বলতে থাকেন, এটা আমার লাস্ট বিসিএস ছিল। আমাকে মেরে ফেলেন ভাই। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 

তখন একজন পুলিশ সদস্য এসে তাকে বলেন, এই ভাই, ওঠেন। পরে উঠে ফাহাদ প্রধান ফটকের কাছে পড়ে থাকা কলম আর প্রবেশপত্র নিতে আসেন। আবারও তিনি রাস্তায় হাত আর মাথা ঠুকতে থাকেন। ফাহাদ বলেন, আমি মরে যাব। আমি মরে যাব। আমার লাস্ট বিসিএস ছিলো এটা।

পরে একজন ফাহাদকে ভেতরে ঢোকানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু পুলিশের বাধায় ব্যর্থ হন। একই সময় কেন্দ্রের সামনে অভিভাবকেরা বলেন, পরীক্ষা তো এখনো শুরু হয়নি। ছেলেটাকে ঢুকতে দেওয়া উচিত ছিলো। কিছুক্ষণ পরে ফাহাদ সেখান থেকে চলে যান। ফাহাদের নিবন্ধন নম্বর ছিলো-১২০২৬০০২।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh