গাইবান্ধায় সংবাদ প্রকাশের জেরে ৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২১ এএম

চাঁদাবাজির মামলার আসামি তিন সাংবাদিক। ছবি: গাইবান্ধা প্রতিনিধি

চাঁদাবাজির মামলার আসামি তিন সাংবাদিক। ছবি: গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সদর উপজেলার কামারজানীতে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি সংক্রান্তে সংবাদ প্রকাশের জেরে গাইবান্ধার তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গাইবান্ধার সাংবাদিক নেতারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

জানা গেছে, দীর্ঘ দুই বছর ধরে গাইবান্ধার কামারজানীতে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছিল ওই এলাকার বালু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর, রানা, সাইফুল, মিল্টনসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র।  

এ ঘটনায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আনন্দ টিভিসহ বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কামারজানী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা খন্দকার আজিজুর রহমান বাদী হয়ে বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করেন। 

এদিকে মামলা হওয়ার পরেও তারা তাদের বালু উত্তোলন ও ব্যবসা চালিয়ে গেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদ আল হাসান একাধিক বার অভিযান চালিয়ে বালু পরিবহন কাজে ব্যবহৃত অন্তত ২০টি গাড়ি জব্দ করেন ও প্রায় ১৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এতে বালু ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হলে তাদের মধ্য জাহাঙ্গীর আলম চলতি বছরের ২৮ মার্চ গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রায় এক মাস পরে (২৪ এপ্রিল) বুধবার সদর থানায় মামলাটি রেকর্ড ভুক্ত করা হয়।

আজ সন্ধ্যায় বিষয়টি গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ মামলায় গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি মিলন খন্দকার, ডেইলি ট্রাইব্যুনালের জেলা প্রতিনিধি মো. সুমন মিয়া ও নাগরিক ভাবনা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি রিয়ন ইসলাম রকিকে আসামি করা হয়।

এদিকে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ায় বিভিন্ন সাংবাদিক, সামাজিক, পেশাজীবী  সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এছাড়া মামলা থেকে নিঃশর্ত অব্যাহতি দেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh