পরিকল্পিত ঢাকা গড়ে তুলতে হবে

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৭ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ঢাকা ক্রমেই হারিয়ে ফেলছে তার সৌন্দর্য। কংক্রিট আর ইট-পাথরের এ শহরে এখন নানা ধরনের দূষণ, যানজট, অসহনীয় গরম, কখনো সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা এটাই বাস্তবতা। বিগত কয়েক বছরে বায়ুদূষণের নগর হিসেবে লাগাতার রেকর্ড করে চলেছে ঢাকা। এমনকি ঈদের ছুটিতেও বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহর ছিল।

এখন আবার রেকর্ড তাপমাত্রা নতুন করে চেপে বসেছে আমাদের মাথার ওপর। যেখানে সারা বিশ্বে তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার জন্য লড়াই চলছে, ঠিক একই সময়ে গত ২০ বছরে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

ঢাকাকে পরিকল্পিতভাবে সাজানোর মাস্টারপ্ল্যান হয়েছিল সেই ১৯১৭ সালে। কিন্তু পরিকল্পনা কাগজপত্রেই রয়ে গেছে, বাস্তব রূপ পায়নি। বরং পরিচালিত হয়েছে পরিকল্পনাহীন সম্প্রসারণ। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে স্থাপনা ও কংক্রিট আচ্ছাদিত স্থান থাকার কথা ৪০ শতাংশ, আছে ৮২ শতাংশ। সড়ক, জলাশয় ও উন্মুক্ত জায়গা থাকার কথা ৬০ শতাংশ, রয়েছে মাত্র ২৪ শতাংশ। প্রতি একরে বসবাস করার কথা ১০০ থেকে ১২০ জনের, বিপরীতে বাস করছেন ৪০০ থেকে ৫০০ জন। চলতি বছরে এই যে তাপপ্রবাহ, তা আসলে একদিনে হয়নি। বরং দীর্ঘদিনের পরিবেশ ধ্বংসের একটি ফলাফল। 

ঢাকা শহরের এ ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য শহরের প্রতিটি ফাঁকা স্থানে গাছ লাগাতে হবে। জলাভূমির পরিমাণও বাড়াতে হবে। দখলকৃত জলাভূমি উদ্ধার করতে হবে। জলাভূমি ভরাট করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। প্রয়োজনে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং এর পরিবর্তে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে এ শহরের আর ক্ষতি করতে দেওয়া যাবে না।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh