তৌসিফ আহমেদ
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম
নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে খাওয়াদাওয়ার লাগাম টেনে ধরতে হবে। ছবি: সংগৃহীত
ঈদ শেষ হলেও এর রেশ কাটেনি এখনো। ঈদের ছুটিতে শারীরিক পরিশ্রম কম হয়। ফলে ঈদের পর অনেকের ওজন বেড়ে যায়। তাই এই সময় খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে। নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে খাওয়াদাওয়ার লাগাম টেনে ধরতে হবে। নিয়ম মেনে ডায়েট শুরু করতে হবে। ওজন এবং উচ্চতা অনুযায়ী ডায়েট চার্ট ফলো করতে পারেন। এজন্য একজন পুষ্টি বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে চেষ্টা করুন। সেটা সম্ভব না হলে নিজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারদাবারের কিছু নিয়ম মেনে চলুন।
তাই স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ঈদপরবর্তী খাবারের তালিকা নির্ধারণ করবেন যেভাবে...
সকালের নাশতা
সকালের নাশতায় রাখতে পারেন সামান্য চিড়া, লাল আটার রুটি, এক বাটি সবজি, একটি সেদ্ধ ডিম ও যে কোনো একটি ফল। খাওয়ার পর টক দই বা লাচ্ছি খেতে পারেন। নাশতার ২ ঘণ্টা পর চিনি ছাড়া বিস্কুট, চা অথবা গ্রিন টি খেতে পারেন।
দুপুরের খাবার
এক কাপ ভাত, শাক-সবজি, মাছ অথবা মুরগির মাংস, পাতলা ডাল, আধা বাটি সালাদ রাখতে পারেন দুপুরের খাবারে। মাছ খেতে পারেন বা কম তেল, মসলা ও সবজি যোগ করে মুরগির মাংসের পাতলা ঝোল খেতে পারেন।
বিকেলের খাবার
বিকেলে আমরা অনেকেই ফাস্ট ফুড বা তেলে ভাজা খাবার, চানাচুর, বিস্কুট ইত্যাদি খেতে পছন্দ করি। কিন্তু ঈদের পর কিছুদিন এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। এসব মুখরোচক স্ন্যাক্সের পরিবর্তে খেতে পারেন তাজা ফল, সবজির স্যুপ বা এক মুঠো বাদাম। সন্ধ্যার পর এক গ্লাস নন-ক্রিম দুধ খেতে পারেন।
রাতের খাবার
রাতের খাবার হতে হবে সবচেয়ে হালকা। পাতলা রুটি, সবজি, এক টুকরা মাছ, ডাল, সালাদ খেতে পারেন। যারা ভাত খেতে চান, তারা অল্প করে ভাতও খেতে পারেন। ওজন কমাতে চান যারা, তারা ওটস বা চিড়ার সঙ্গে দই বা দুধ যোগ করে খেতে পারেন। রাতের খাবার সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে।
এ ছাড়া এ সময়ে সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন এবং পরিমিত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।