নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৩ এএম
ছবি: সংগৃহীত
সদরঘাটের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় দুই লঞ্চের পাঁচজনকে আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
এসআই মোদাচ্ছের বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দায়ের করা মামলায় অবহেলাজনিত বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালানোর কারণে মৃত্যু ঘটানোর অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
ঈদের দিন বেলা ৩টার দিকে একটি লঞ্চের ধাক্কায় আরেকটির রশি ছিঁড়ে পাঁচজনের মৃত্যুর পর বিকালে পাঁচজনকে আটক করেছিল পুলিশ। মামলার পর তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলায় আরো অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনের জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোদাচ্ছের হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক ইসমাইল হোসাইন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হচ্ছেন, ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় মাস্টার সেলিম হাওলাদার (৫৪) ও ম্যানেজার ফারুক খান (৭০) এবং তাসরিফ-৪ লঞ্চ এর মাস্টার মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় মাস্টার মনিরুজ্জামান (২৮)।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে সদরঘাটের পন্টুনে থাকা একটি লঞ্চকে অপর একটি লঞ্চ ধাক্কা দিলে রশি ছিঁড়ে আঘাতে একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ রশি দিয়ে সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে এমভি ফারহান-৬ নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়।
ওই রশির আঘাতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। কেউ কেউ পাশে থাকা লঞ্চের সঙ্গে বাড়িও খায়।
নৌপুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, “ওই যাত্রীরা পন্টুনে ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, ছিঁড়ে যাওয়া রশির আঘাতেই তাদের মৃত্যু হয়।”
এ ঘটনায় এমভি ফারহান-৬ ও এমভি তাসরিফ-৪ এর রুট পারমিট বাতিল করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ঘটনা তদন্তে সংস্থাটির তরফে তিন সদস্যদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মিটফোর্ড হাসপাতালে দুর্ঘটনার কয়েকটি ছবি দেখিয়ে নৌ পুলিশের এসআই কুমারেশ ঘোষ বলেন, “এক লঞ্চকে আরেক লঞ্চ ধাক্কা দেয়। ওই ধাক্কায় লঞ্চের মোটা রশি ছিঁড়ে মানুষের গায়ে ধাক্কা লেগেছে। তাতেই ঘটেছে হতাহতের ঘটনা।”