হুমায়ুন আজাদ হত্যার ফাঁসির আসামি ২০ বছর পর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম

পুলিশি হেফাজতে আসামি। ছবি- সংগৃহীত

পুলিশি হেফাজতে আসামি। ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জঙ্গি সংগঠন জেএমবির নেতা নুর মোহাম্মদ ওরফে সাবু ওরফে শামীম ওরফে মাহবুবুর রহমানকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। নুর মোহাম্মদ গত ২০ বছর ধরে পলাতক ছিলেন।

সোমবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ডিএমপির বিমানবন্দর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এটিইউর মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার মাহফুজুল আলম রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, জেএমবি'র নুর মোহাম্মদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি ২০ বছর ধরে পলাতক ছিলেন। ঢাবির অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদের পাক সার জামিন সাদ বাদ বইটি জেএমবি মতাদর্শ পরিপন্থী হওয়ায় ২০০৪ সালে জেএমবির আমির শায়েখ আব্দুর রহমানের নির্দেশে জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানি, সালাউদ্দিন সালেহিন, হাফেজ শহিদসহ অন্যান্যদের সঙ্গে সংঘবদ্ধভাবে নুর মোহাম্মদ ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা করেন। 

ড. আজাদ ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ‘অমর একুশে বইমেলা’ থেকে বের হয়ে বাংলা একাডেমি ও টিএসসির মাঝামাঝি পৌঁছালে নুর মোহাম্মদসহ অন্য সহযোগীরা তাকে ঘেরাও করে। তারা ব্যাগ থেকে চাপাতি ও ছুরি বের করে ড. হুমায়ুন আজাদের ঘাড়, মাথা, মুখ, গলা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে। এরপর হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ড. আজাদ চিকিৎসারত অবস্থায় জার্মানিতে মারা যান।

তিনি জানান, নুর মোহাম্মদ জেএমবির আমির শায়েখ আব্দুর রহমানের কাছে বায়াত গ্রহণ করেন এবং জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানির মাধ্যমে জেএমবি সংগঠনের দাওয়াত পান। পরে জেএমবি নেতা সালাউদ্দিন সালেহিন, হাফেজ শহিদ, মো. মিজানুর রহমান মো. হাফিজ মাহমুদ রাকিবসহ অনেকের সঙ্গেই তিনি সম্পৃক্ত হন এবং বিভিন্ন সাংগঠনিক কাজে অংশগ্রহণ করেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh