মানব মস্তিষ্কে প্রথম নিউরালিংক চিপ স্থাপন, যে তথ্য দিলেন ইলন মাস্ক

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম

ইলন মাস্ক ও নিউরালিংকের লোগো সম্বলিত প্রতীকী ছবি

ইলন মাস্ক ও নিউরালিংকের লোগো সম্বলিত প্রতীকী ছবি

প্রথমবারের মতো মানব মস্তিষ্কে নিউরালিংকের চিপ বসানো সম্ভব হয়েছে দাবী করে নিউরালিংকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক বলেছেন, তিনি ইতিমধ্যেই ব্রেনের মাধ্যমে কম্পিউটার পরিচালনা করতে পারছেন বলে দাবী করেছেন। তবে ওই ব্যক্তি বা বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

সম্প্রতি এক এক্স পোস্টে ইলন মাস্ক জানান, এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে সফলতা পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ফলাফলে নিউরন স্পাইক শনাক্তকরণ ব্যবস্থায় আশাব্যঞ্জক সাড়া মিলেছে। তিনি আরও বলেন, অগ্রগতি ভালো, এবং রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের জানামতে তার উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব নেই। রোগী কেবল চিন্তা করেই মাউস নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।

নিউরালিংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে ব্রেনে বসানো চিপের সাহায্যে মানুষ যাতে তাদের কম্পিউটারের কার্সর ও মাউস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অর্থাৎ, মনে মনে ভেবেই কম্পিউটারে কাজ করা যাবে। অন্তত মাউস ও কিবোর্ড পরিচালনার অংশটুকু।

স্পাইক হলো নিউরনের কার্যকলাপ, যাকে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ 'কোষের বৈদ্যুতিক এবং রাসায়নিক সংকেত ব্যবহার করে মস্তিষ্কে এবং শরীরে তথ্য প্রেরণ ব্যবস্থা' হিসাবে বর্ণনা করেছে।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, যার মস্তিষ্কে চিপটি বসানো হয়েছে, তিনি মাউসে কতগুলো ক্লিক করতে পারেন, তা এখন পর্যবেক্ষণ করে দেখছে নিউরালিংকের কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) নিউরালিংককে প্রথমবারের মতো মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসিয়ে পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দেয়, যা পক্ষাঘাতগ্রস্ত এবং বিভিন্ন স্নায়বিক সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করার জন্য এই স্টার্টআপের লক্ষ্য অর্জনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা নিউরালিংকের নিরাপত্তা প্রোটোকল আরও যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণের দাবি দাবি তুলেছেন। ডিসেম্বরে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থ আনা নেওয়ার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন বিভাগের নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে নিউরালিংকের প্রযুক্তি সম্পর্কে মাস্ক বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের চার আইন-প্রণেতা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh