নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম
সৈয়দ আশফাকুল হক। ছবি: সংগৃহীত
দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হককে অব্যাহতির দেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে গৃহকর্মীর মৃত্যুর মামলায় কারাগারে আছেন।
আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) পত্রিকাটির ওয়েবসাইটে অব্যাহতির বিষয়ে একটি নোটিশ প্রকাশ করা হয়। নোটিশটি অবিলম্বে কার্যকর গণ্য হবে বলে সেখানে জানানো হয়।
সৈয়দ আশফাকুলকে অব্যাহতি দেওয়ার পেছনে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি পত্রিকাটির পক্ষ থেকে।
তবে নিজের বাসা থেকে পড়ে কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া মামলায় বর্তমানে তিনি সস্ত্রীক কারাগারে রয়েছেন।
অব্যাহতির নোটিশের তথ্য অনুযায়ী, সৈয়দ আশফাকুল হক ১৯৯৩ সালে দ্য ডেইলি স্টার-এর ক্রীড়া বিভাগে যোগদান করেন। এরপর তিনি ক্রমান্বয়ে ক্রীড়া সম্পাদক, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, প্রধান বার্তা সম্পাদক এবং অবশেষে ২০১৯ সাল থেকে আজ (২ এপ্রিল) পর্যন্ত পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত ২১ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এক শুনানি শেষে আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের জামিন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসার সাহায্যকারী ১৫ বছর বয়সি প্রীতি উরাং নয়তলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওইদিন গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় সৈয়দ আশফাকুল, তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার ও তাদের দুই সন্তানকে আটক করে পুলিশ। পরে সন্তানদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্ত দম্পতিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালীন মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় গোয়েন্দা পুলিশ।
পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দসর্বশেষ ২১ মার্চ তাদের জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ।