আমার ব্যক্তিজীবনে এত ধৈর্য নেই: মন্দিরা

মোহাম্মদ তারেক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৫ এএম

অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী।

অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী।

অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী। আসছে ঈদে মুক্তির তালিকায় আছে তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘কাজলরেখা’। গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত সিনেমাটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। এ সিনেমা ও সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক

প্রথম সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। কেমন অনুভূতি হচ্ছে?
লোকমুখে শোনা আর সিনেমাহলে গিয়ে দেখার মাঝে সিনেমার তফাত আছে। এ ছবিতে প্রচুর গান আছে (২০টি)। শুটিংয়ের আগে থেকে শুরু করে পুরো একটি বছর যে কষ্ট করেছি তাতে মনে হচ্ছে ছবিটি দর্শকের ভালো লাগবে। চমৎকারভাবে কাজটি শেষ হয়েছে।

এ সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ‘কাজলরেখা’ হয়ে উঠতে চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
ছোটবেলা থেকে বাবা-মা আমাকে পুতুলের মতো মানুষ করেছে। ছবিটির স্ক্রিপ্ট পেয়ে ও রিহার্সেল করে বুঝতে পেরেছিলাম আমাকে কী কী করতে হবে। শুটিং শুরু হওয়ার পর অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। চরের উপর হাঁটতে হয়েছে, নদীতে ঝাঁপ দিতে হয়েছে, ঘাস চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে হয়েছে, এমন সব কাজ করতে হয়েছে যা আগে কখনো করিনি। কষ্ট হয়েছে আবার ভালোও লেগেছে।

‘কাজলরেখা’ হয়ে উঠতে পেরেছেন?
স্ক্রিপ্ট পাওয়ার পর গল্পটা পড়লাম। ‘কাজলরেখা’ চরিত্রটি নিজের মাঝে ধারণ করলাম। তখন বুঝতে পারলাম এ চরিত্রের সঙ্গে আমার মিল আছে। আমি খুবই শান্তশিষ্ট, চুপচাপ ধরনের মানুষ। ‘কাজলরেখা’ চরিত্রটিও ওরকম। পুরোপুরি বলব না চরিত্রটি কেমন, হলে গিয়ে দেখতে হবে। তার জীবনে অনেক বাধা-বিপত্তির মাঝেও সে ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে গেছে। আমার ব্যক্তিজীবনে এত ধৈর্য নেই। এদিক থেকে আমার সঙ্গে কাজলরেখার অমিল খুঁজে পাই।

নন্দিত নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
সেলিম ভাই আমার পিতা সমতুল্য। শিক্ষাগুরু। প্রথম দিন থেকে কাজলরেখা হয়ে ওঠার জন্য যেভাবে শিখিয়েছেন তা কখনো ভুলব না। আমি আগে অনেক নির্মাতার সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু সেলিম ভাই একদম অন্যরকম। আমি আগে কখনো সিনেমায় কাজ করিনি। তিনি বিশ্বাস রেখেছেন আমি কাজটি পারব। প্রতিনিয়ত গ্রুমিং করিয়েছেন। দিনশেষে আমি আসলেই কাজলরেখা হয়ে উঠতে পেরেছি। শুটিংয়ে তিনি কখনো আমাকে বকা দেননি। প্যাকআপ হওয়ার পর সবাই পিকনিক করতাম, মজা হতো। এই স্পেস ডিরেক্টররা দেন না সাধারণত। সেলিম ভাই দিয়েছেন। তাই তিনি আমাদের বন্ধুর মতো।

আপনার পরবর্তী পরিকল্পনা কী?
সিনেমা মুক্তির সময়টাকে পরীক্ষার সময় বলা যায়। প্রস্তুতিও ভালো আছে। ঈদে সিনেমাটি মুক্তি পেলে তারপর নতুন কিছু সিদ্ধান্ত নেব। দর্শকের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে পরবর্তী সময়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh