নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
ওয়ারী বিভাগের রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়েছে ওয়ারী থানা পুলিশ। ফাইল ছবি
বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর তিন দিনে রাজধানীর ১ হাজার ১৩২টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এসব অভিযানে ৮৭২ জনকে গ্রেপ্তার এবং ২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেইসাথে ৮৮৭টি ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (৬ মার্চ) ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের একটি ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। অনুমতি না থাকলেও ১৪টি রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকান খুলে ব্যবসা করা হচ্ছিল ওই ভবনে।
ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডের পর ধানমণ্ডি, খিলগাঁও, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় একই রকম অনিরাপদ পরিবেশে ভবনজুড়ে রেস্তোরাঁ গড়ে তোলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় আসে। এই প্রেক্ষাপটে সমালোচনার মুখে রাজধানীতে অভিযানে নামে রাজউক, সিটি করপোরেশন, পুলিশ ও র্যাব।
আবাসিক ভবনে নিয়মের বাইরে গিয়ে বানানো রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এসব অভিযানে, আবার কোনো কোনো জায়গায় গ্রেপ্তার ও জরিমানাও করা হচ্ছে।
তবে সরকারি সংস্থাগুলো সমন্বয়হীনভাবে এলোপাতাড়ি অভিযান চালাচ্ছে বলে আলোচনা উঠেছে জাতীয় সংসদে। আর রেস্তোঁরা মালিকেরা বলছেন, সমাধানের পথে না গিয়ে তাদের ওপর ‘হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে’ কর্তৃপক্ষ।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর এলাকার হোটেল-রেস্তোঁরা, ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান ও রাসায়নিকের গুদামে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এর ধারাবাহিকতায় গত রবিবার, সোমবার ও মঙ্গলবার মোট এক হাজার ৩৪৭টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়।
এর মধ্যে ১ হাজার ১৩২টি হোটেল-রেস্তোঁরা, ২০৭টি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান এবং আটটি রাসায়নিকের গুদাম।