তিশা-মুশতাকের ভিডিও সরাতে লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৪, ১০:২৪ এএম

সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদ। ফাইল ছবি

সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদ। ফাইল ছবি

সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদ দম্পতি এবং খন্দকার মুশতাক আহমেদের পরিবারের সদস্যদের ছবি, ভিডিও নিয়ে অসত্য, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট তথ্য সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে প্রচারের অভিযোগ এনে তিশার বাবা মো. সাইফুল ইসলামকে সাত দিনের সময় দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সিনথিয়া ইসলাম তিশার বাবা মো. সাইফুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কে এই নোটিশ দিয়েছেন অ্যাড. হাসান এন্ড এসোসিয়েটের সত্ত্বাধিকারী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।

নোটিশে বলা হয়, সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদ দম্পতির স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত করার পাশাপাশি তাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে মানহানি করা হচ্ছে। যা প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একই সঙ্গে কোনো প্রকার লিখিত অনুমতি ছাড়া খন্দকার মুশতাক আহমেদের ছেলে ও মেয়ে, প্রাক্তন স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের ছবি, ভিডিও নিয়ে অসত্য, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট তথ্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে পরিবেশন, প্রকাশ, সম্প্রচার তথা প্রচারণা করে প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হচ্ছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

সিনথিয়া ইসলাম তিশার পিতা মো. সাইফুল ইসলাম তার নিকটাত্মীয় আবুলের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা ও ফ্ল্যাট দাবি করলেও খন্দকার মুশতাক আহমেদ সেই বিষয়ে কর্ণপাত না করায় আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে অসত্য, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর, মনগড়া তথ্যাদি প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে পরিবেশন করে বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাশাপাশি জনসাধারণের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে পরিবেশিত সব ভিডিও বক্তব্য তিশা এবং মুশতাক দম্পতির কাছে সযত্নে সংরক্ষিত আছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।। 

লিগ্যাল নোটিশে আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার আরও বলেছেন, লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদ দম্পতি এবং খন্দকার মুশতাকের ছেলে ও মেয়ে, প্রাক্তন স্ত্রী তথা পরিবারের সদস্যদের ছবি, ভিডিও নিয়ে মো. সাইফুল ইসলাম যে অসত্য, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট তথ্যাদি সামাজিক মাধ্যম এবং ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে পরিবেশন, প্রকাশ, সম্প্রচার তথা প্রচারণা করেছেন, সেজন্য নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করে তা প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করা হলো। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর চেয়ারম্যানকেও লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে লিগ্যাল নোটিশের ১৪ নম্বর প্যারায় উল্লেখিত মোট ৮টি  লিংকসমূহ অপসারণের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি যারা এসব প্রচার, প্রকাশ ও পরিবেশনের অপকর্ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে তিশা-মুশতাক দম্পতি সম্পর্কে আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে মো. সাইফুল ইসলামকে সামাজিক মাধ্যম এবং ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে অসত্য, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট তথ্যাদি পরিবেশন থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকতেও অনুরোধ জানানো হয়েছে নোটিশে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh