নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম | আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
মাসের শেষ শুক্রবার হওয়ায় শিশু প্রহর ঘিরে ভিড় ছিল বেশি। ছবি- সংগৃহীত
আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বইমেলার ২৩তম দিন। মাসব্যাপী মেলায় শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত থাকে শিশুদের জন্য বরাদ্দ। এদিন মা-বাবা ও স্বজনদের সঙ্গে এ সময় মেলায় ভিড় করে শিশুরা।
এই প্রহরে অভিভাবকদের হাত ধরে তারা ঘুরে বেড়ায় বইয়ের স্টলে স্টলে। নিজেদের বা বাবা-মায়ের পছন্দমত বই কেনে শিশুরা। গল্পের, ছড়ার বা কমিকসের বই কেনাকাটা ছাড়াও সিসিমপুরে মঞ্চে নাচানাচি, গান, চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রযোগিতায় মেতে ওঠে শিশুরা।
এই দিনটি মাসের শেষ শুক্রবার হওয়ায় শিশু প্রহর ঘিরে ভিড়ও ছিল কিছুটা বেশি।
সকাল সাড়ে দশটায় বইমেলার মূলমঞ্চে ছিল বাংলা একাডেমি আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
মেয়েকে নিয়ে মেলায় আসা আনিকা তাবাসসুম বলেন, সকালে আবৃত্তি প্রতিযোগিতার পুরস্কার অনুষ্ঠানে এসেছিলাম। পরে মেলায় মেয়েকে নিয়ে ঘুরেছি, বই কিনেছি।
বইমেলায় শিশুদের আনন্দকে রাঙিয়ে দিতে সপ্তাহের প্রতি শুক্র ও শনিবার সিসিমপুর মঞ্চে থাকে সিসিমপুরের জনপ্রিয় চরিত্র ইকরি, হালুম, টুকটুকি, শিকু, জুলিয়ারা। টিভি পর্দার এই জনপ্রিয় চরিত্ররা শিশুদের সামনে এসে পুরো শিশুচত্বরের আনন্দকে বাড়িয়ে দেয়। এদিনও এর ব্যতিক্রম ছিল না।
বেলা সাড়ে ১১টায় সিসিমপুরের শোয়ে টুকটুকি, হালুমদের নিয়ে শিশুদের মাঝে ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করে ঢাকা মেট্রোপলিট্রন পুলিশ।
সিসিমপুর কর্তৃপক্ষ জানায়, এদিন বিকেল সাড়ে ৩টা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টাতেও থাকছে সিসিমপুরের শো।
শিশুচত্বরে ঘাশফড়িং, জনতা প্রকাশ, বাংলা একাডেমি, তাকধুমসহ কয়েকটি স্টলে কথা বলে জানা যায়, বই বিক্রি মন্দ হয়নি।
এসব স্টলের বিক্রয় কর্মীদের ভাষ্য, মেলায় যারা আসছেন, তাদের বেশিরভাগই বই হাতে বাড়ি ফিরছেন।