নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ পিএম
ভোগ্যপণ্য। ছবি: সংগৃহীত
রমজানে দাম সহনীয় রাখতে আমদানিতে প্রধানমন্ত্রীর শুল্কহার কমানোর ঘোষণার মাত্র একদিনের ব্যবধানে ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার দাম মণপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।
নতুন শুল্কহার কার্যকর হলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কায় মিল মালিকরাও আটকে রাখা পণ্য ছেড়ে দিচ্ছেন দ্রুত। এতে নাগালে আসতে শুরু করেছে দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার।
গত এক বছরে বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের বুকিং রেট কয়েক দফা কমলেও দেশের বাজারে তা কমানো হয়নি। কিন্তু আমদানি করা ভোজ্যপণ্যের শুল্কহার কমাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ঘোষণায়ই ধস নামতে শুরু করেছে তেলের বাজারে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলেই প্রতিমণে ৫০ টাকা, একইভাবে আরও ৫০ টাকা কমেছে মঙ্গলবার। বর্তমানে ভোজ্যতেলের বুকিং রেট (প্রতি মেট্রিক টন) সয়াবিন ৯১৫ মার্কিন ডলার এবং পাম অয়েল ৯০৫ মার্কিন ডলার। ৫ শতাংশ শুল্কহার কমলে ১৮০ এবং ১০ শতাংশ কমলে অন্তত ৪০০ টাকা কমাতে হবে। তাই ভোজ্যতেলের মিল মালিকেরা এতোদিনের মজুত আগেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
ছোলার কোনো শুল্কহার না থাকলেও এতোদিন ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়েছিলেন আমদানিকারকরা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ছোলা আমদানির হার বাড়তে থাকায় দামও কমছে। গত এক সপ্তাহে ৯৪ টাকার অস্ট্রেলিয়ান ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৯ টাকায়। আর সাধারণ মানের ছোলা নেমে এসেছে ৮০ টাকায়।
চিনির পাইকারি বাজারে মজুদ করা চিনি মিল মালিকেরা ছাড়লেও কাঙ্ক্ষিত দামে ক্রেতা পাচ্ছেন না। যে কারণে প্রতি ঘণ্টায় মণপ্রতি দাম কমছে ৫ থেকে ১০ টাকা। বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩২ টাকা দরে।