বাংলাদেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ পানিতেই আর্সেনিক: গবেষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫১ পিএম | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও মৌসুমি বন্যার কারণে আর্সেনিকের মাত্রা বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও মৌসুমি বন্যার কারণে আর্সেনিকের মাত্রা বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ পানিতেই অনিরাপদ মাত্রায় আর্সেনিক পাওয়া গেছে। দীর্ঘ সময় এ ধরনের পানি পান করলে ত্বকের পাশাপাশি মূত্রথলি ও শ্বাসযন্ত্রেও ক্যানসার হতে পারে। 

আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ‘প্লস ওয়ান’ নামের যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান বিষয় একটি সাময়িকীর গবেষণা প্রবন্ধে এমনটি দাবি করা হয়েছে। ওই গবেষণা প্রবন্ধ নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট। 

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বাংলাদেশের পানিতে এত বেশি মাত্রায় আর্সেনিক পাওয়া যাওয়াটা দেশটির ভঙ্গুর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ইঙ্গিত দেয়। নিয়মিত প্রবল বন্যার মুখে থাকা বাংলাদেশ জলবায়ু সংকটের কেন্দ্রে অবস্থান করছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্লস ওয়ানের প্রতিবেদনে। 

গবেষণায় দেখা যায়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও মৌসুমি বন্যার কারণে আর্সেনিকের মাত্রা বাড়ে। সমুদ্রের নোনাপানি মিষ্টিপানির সঙ্গে মিশলে পলি থেকে আর্সেনিক নির্গত হয়।

বাংলাদেশের দুর্যোগের চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০১৮ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে দেশের এক-তৃতীয়াংশ পানিতে তলিয়ে যায়। বর্ষার তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের গড়ে ২১ শতাংশ অঞ্চলে বন্যায় প্লাবিত হয়।

গবেষকরা আর্সেনিক নিঃসরণের বিষয়টি বুঝতে অক্সিজেনের ঘনত্ব, পিএইচ ও তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য সারা বাংলাদেশে কূপ থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ পানির প্রায় ৪৯ শতাংশে আর্সেনিকের ঘনত্ব ওই সীমার বেশি। কিছু নমুনায় আর্সেনিকের ঘনত্ব রেকর্ড করা হয়েছে প্রতি লিটারে প্রায় ৪৫০ মাইক্রোগ্রাম। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মাত্রার ৪৫ গুণ। ডব্লিউএইচওর নির্ধারিত পানীয় জলের নিরাপদ সীমা প্রতি লিটারে সর্বোচ্চ ১০ মাইক্রোগ্রাম। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh