জামালপুরে ট্রেনে আগুন, আহত ৪

জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৫১ এএম | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩৬ এএম

ট্রেনটি তারাকান্দি স্টেশন থেকে রাত ২টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। ছবি: প্রতিনিধি

ট্রেনটি তারাকান্দি স্টেশন থেকে রাত ২টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। ছবি: প্রতিনিধি

জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুনের সূত্রপাত বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা প্রাথমিকভাবে বলতে পারেনি কেউ। তবে এ ঘটনায় আজ রবিবার (১৯) সকালে অজ্ঞাত (হরতাল সমর্থক) আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে জামালপুর জিআরপি থানায়।

সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার আব্দুস সালাম জানান, ঢাকা থেকে তারাকান্দিগামী আন্তঃনগর যমুনা ট্রেন রাত ১.১০টায় সরিষাবাড়ী স্টেশনে থামে। কিছুক্ষণ পর ট্রেনটি তারাকান্দির উদ্দেশ্যে ছাড়ার সাথেসাথেই আগুন ধরে। ট্রেন স্টেশন থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মোড় পর্যন্ত গেলে ক, খ ও গ বগিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। এসময় অন্য বগির আতঙ্কিত যাত্রীরা শিকল টেনে ট্রেন থামায়।

উল্লেখ্য, যমুনা ট্রেনটি তারাকান্দি স্টেশন থেকে রাত ২টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট, জিআরপি ও থানা পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে ট্রেনটি পুড়ে যাওয়া বগি তিনটি রেখে তারাকান্দি স্টেশনে যায়, সকাল ৬টায় তারাকান্দি থেকে ফিরে পুড়া বগিসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

জামালপুর রেলওয়ে থানার (জিআরপি) অফিসার ইনচার্জ গোলজার হোসেন জানান, কে বা কারা ট্রেনে আগুন দিয়েছে প্রাথমিকভাবে তা বলা যাচ্ছে না, তবে হরতাল সমর্থনকারীরা নাশকতার উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটাতে পারে। এ ঘটনায় সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার আব্দুস সালাম বাদি হয়ে অজ্ঞাত নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

বিষয়টি তদন্ত চলছে এবং দোষী ব্যক্তিরা শনাক্ত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহমিদা জামান তিথি জানান, রাত ১.২০টার দিকে হাসপাতালে চারজন নারী আহত এসেছিলেন। এরমধ্যে দুইজনকে ভর্তি ও দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহতরা হলেন—উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের জহির উদ্দিনের স্ত্রী  মমতাজ বেগম (৫০), পোগলদিঘা ইউনিয়নের রুদ্র বয়ড়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রী আশিকা সুলতানা (৩০), তারাকান্দি গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৪) ও ইয়ার মাহমুদের স্ত্রী জেলী বেগম (৫০)।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh