ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: ভোলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৮ পিএম

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে তলিয়ে গেছে ধানের জমি। ছবি: ভোলা প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে তলিয়ে গেছে ধানের জমি। ছবি: ভোলা প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ভোলায় কি পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা তৈরির কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে কৃষি বিভাগের মাঠকর্মী এবং কৃষকরা জানিয়েছেন, জেলার ৭ উপজেলায় ঘর-বাড়ি বিধ্বস্তসহ ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে সবজি চাষিদের ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিবি ফাতেমা জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে কৃষকের ধান, সীম, ফুলকপি, লাল শাক, লাউ, মূলাসহ সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানিয়েছেন, ধার-দেনা করে যে ধান এবং সবজির চাষ করেছিলো তারা, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি তা ধ্বংস করে দেয়ায় এখন চরম বিপাকে পড়েছেন। ভবিষ্যতে কিভাবে এ ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে নিবেন সে ব্যাপারেও চিন্তিত তারা।

ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসনের আওতায় আনার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে।

ভোলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসাইন জানিয়েছেন, ভোলা জেলায় যে সমস্ত ঘরবাড়ি এবং ফসলি জমি ক্ষতি হয়েছে তাদের তালিকা প্রণয়ন করে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় প্রেরণ করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হবে। এছাড়া মিধিলির প্রভাবে মেঘনায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের নিখোঁজ জেলে বেলায়েত হোসেন বাদশার সন্ধানে কাজ চলছে।  

প্রশাসনের প্রাথমিক হিসাব মতে ভোলা জেলায় ৪২৬টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৭৩টি ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৫৫ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh