ফ্যাশনে রিং ওয়াচ

রবিউল কমল

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩৩ এএম

রিং ওয়াচ। ছবি: সংগৃহীত

রিং ওয়াচ। ছবি: সংগৃহীত

হরোলজির জগতে সবসময় নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। আর ঘড়ির জগতের সর্বশেষ সংযোজন হলো রিং ওয়াচ। রিং ওয়াচ এই শিল্পের একটি স্বতন্ত্র ও স্টাইলিশ সংস্করণ। এটিকে হরোলজি ও গহনার সমন্বয় বললে ভুল হবে না। রিং ওয়াচ কারুশিল্প ও নান্দনিকতার ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হতে যাচ্ছে। যারা নতুন ফ্যাশন অনুষঙ্গের সন্ধানে থাকেন তাদের জন্য দারুণ সংগ্রহ হতে পারে রিং ওয়াচ।

নকশা ও কারুকাজ দেখে অনুমান করাই যায়, গভীর মনোযোগ সহকারে এ ধরনের ঘড়ি তৈরি করা হয়। এর নকশা বেশ জটিল হয়। এতে মূল্যবান ধাতু ব্যবহার করা হয় (সোনা বা প্লাটিনাম), রত্নপাথর (হীরা, নীলমণি বা পান্না)। এ ছাড়া থাকে এনামেল কাজ। রিং ওয়াচ দেখতে একটু ছোট আকারের হয়, আর এতে থাকে নান্দনিক শৈল্পিক অলঙ্কারের ছোঁয়া। তবে রিং ওয়াচ পরার মূল উদ্দেশ্য কিন্তু সময় দেখা নয়, বরং নিজেকে আলোচনায় রাখা বা আকর্ষণীয় করে তোলা।

রিং ওয়াচ কী : এটি এক ধরনের টাইমপিস, যা আংটির মতো করে আঙুলে পরা যায়। এতে থাকে টুকরো টুকরো গয়নার নান্দনিক নকশা। সাধারণত একটি আংটিতে এম্বেড করা ছোট্ট একটি ঘড়ি থাকে। ফলে ব্যবহারকারীকে ঐতিহ্যবাহী হাতঘড়ি পরার প্রয়োজন হয় না। তবে এটি শুধু ঘড়ি নয়, বরং ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। সেজন্য রিং ঘড়িতে প্রায়ই নানা নকশা ও উপকরণ থাকে।

রিং ওয়াচ কেন ট্রেন্ডিং : সম্প্রতি সোনা, রুপা ও তামার টোনসহ একটি স্টেইনলেস স্টিল মডেলের রিং ওয়াচ এনেছে ফসিল। এতে আছে একটি ছোট ঘড়ি ও ডায়ালার। যা এই কোম্পানির আইকনিক কবজি ঘড়িগুলোর মতো লুক এনে দিয়েছে। ব্র্যান্ডটি গত মাসে ফ্লোরাল সংস্করণে দিয়ে বার্বিকেও সহযোগিতা করেছিল। তাদের দেখে জাপানি কোম্পানি ক্যাসিও জি-শক রিং ওয়াচ এনে এই ফ্যাশন ট্রেন্ডের সঙ্গে নাম লিখিয়েছে। তবে ক্যাসিওর ঘড়িগুলো বর্তমানে কেবল জাপানে পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি নিউইয়র্কের এম জুয়েলার্সের মতো জুয়েলারি ব্র্যান্ডগুলো পিঙ্কি আকৃতির রিং ওয়াচ এনেছে, যা দেখতে অনেকটা পুরনো স্কুল ক্যাসিওর মতো। শুধু তাই নয় রিং ওয়াচ এই ট্রেন্ড ভাইরাল হওয়ার পেছনে আছে টিকটকও। অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর বিলাসবহুল এই ঘড়ির প্রচার করছেন। যা রিং ওয়াচকে নতুন প্রজন্মের ভিন্টেজ ঘড়ি প্রেমীদের দলে যোগ করেছে।

রিং ওয়াচে স্টাইল : ১৮ শতকের ইউরোপীয় ফ্যাশন থেকে এই ফ্যাশন অনুষঙ্গটির যাত্রা শুরু হয়। এটি এমন একটি টাইমপিস, যা বেশিরভাগ সময় পুরুষের পোশাকে দেখা যেত। তবে ট্রেঞ্চ ঘড়ি বা পেন্ডেন্ট ঘড়ির মতো অনেক আগেই ফ্যাশনের বাইরে চলে যায় রিং ওয়াচ। যা হোক, ১৮০০ দশকের শেষের দিকে ও ১৯০০ দশকের গোড়ার দিকে রোলেক্স এবং প্যাটেক ফিলিপের মতো ঐতিহ্যবাহী ব্র্যান্ড তাদের নিজস্ব রিং ওয়াচ আনতে শুরু করে।

রিং ওয়াচক অ্যান্ড্রোগিনোস স্টাইলের সমন্বিত প্রাচীন লুক বলা যেতে পারে, যা এ ধরনের টাইমপিসকে আরও বহুমুখী করে লেছে। ফ্যাশনে রিং ওয়াচকে আলাদাভাবে ফুটিয়ে তুলতে ব্রেসলেট ও অন্যান্য রিং না পরাই ভালো। যদি এটি সোনালি ও হীরা যুক্ত হয়, তাহলে এলবিডির সঙ্গে পরা যেতে পারে। আবার ঘড়ির ডায়ালের সঙ্গে ম্যানিকিউর করলে চমৎকার লাগবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh