আবারও সামনে এলো ভারত-কানাডা সম্পর্কের টানাপড়েন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১৪ পিএম | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:২৮ পিএম

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি- সংগৃহীত

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি- সংগৃহীত

ভারত সরকার দেশটিতে কানাডার কূটনৈতিক মিশনে কর্মরত ৪১ জন কূটনীতিকের ‘ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি’ বাতিলের পরিকল্পনা করেছিল। ভারতের বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই  ৪১ কূটনীতিককে প্রত্যাহার করে নিল কানাডা।  

শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার ঘটনায় ভারত ও কানাডার মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে।  তারই ধারাবাহিকতায় ট্রুডো প্রশাসনের কাছে তাদেরকে প্রত্যাহার করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না।

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানিয়ে জোলি গণমাধ্যমকে কূটনীতিকদের ভারত ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মেলানিয়ে জোলি বলেন, আমরা কূটনীতিকদের নিরাপদে ভারত ত্যাগের ব্যবস্থা করেছি। অর্থাৎ সেইসব কূটনীতিক এবং তাদের পরিবার ইতিমধ্যে ভারত ছেড়েছে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবর অনুযায়ী, ভারতে কর্মরত কানাডীয় কূটনীতিক ছিল মোট ৬২ জন। ৪১ জন চলে যাওয়ায় বাকি ২১ জন ভারতে কানাডা হাইকমিশনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।

গত জুনে কানাডার নাগরিক ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিখ নেতা নিজ্জারকে ভ্যাংকুভারের কাছে একটি গুরুদুয়ারার সামনে হত্যা করা হয়। এরপর এই ঘটনা ঘিরে চলতে থাকে তদন্ত। 

এক পর্যায়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে দাবি করেন যে, এই হত্যাকাণ্ডে ভারতীর এজেন্টদের হাত রয়েছে। যদিও ভারত বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। একইসাথে তৎকালীন সময়ে নিন্দা জানিয়ে কানাডার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় নয়াদিল্লি।

যদিও কানাডার পক্ষ থেকে ভারতের প্রতি তদন্তে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়। তবে ভারত উল্টো কানাডিয়ানদের জন্য ভিসা বন্ধ করার মতো পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। অন্যদিকে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিককে বহিষ্কারও করে অটোয়া ও নয়াদিল্লি।

সূত্র- এএফপি

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh