অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:০৮ পিএম | আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:১৯ পিএম
দুর্গাপূজায় দেবী মাকে বরণ ও বিসর্জনে থাকে নানা আয়োজন। ছবি- সংগৃহীত
পূজা মানে আনন্দ, সাজগোজ, ঘোরাঘুরি আর খাওয়াদাওয়া। বছর ঘুরতে না ঘুরতে আবারও চলে এসেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। প্রতিমার গায়ে শেষ তুলির টান দিচ্ছেন শিল্পীরা। আর উৎসবের আমেজে মেতে উঠতে শুরু করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
মহাষষ্ঠী বা বোধনের মাধ্যমে শুরু হয়ে দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হয় দুর্গা পূজার উৎসব। পূজার কয়েকদিন প্রত্যেকেই চায় নিজেকে সবচেয়ে সুন্দর দেখাতে। বিশেষত মেয়েরা পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করে জুয়েলারি পরেন। আকর্ষণীয় মেকআপ করে সৌন্দর্যকে তুলে ধরতে মেয়েরা বেশি পটু।
ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত কী পরবেন, কীভাবে সাজবেন তারই পরিকল্পনা থাকছে সাম্প্রতিক দেশকালের আয়োজনে।
ষষ্ঠীর সাজ: ষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পূজার আয়োজন। এই দিনে হালকাভাবেই সাজুন। গরম থাকায় সুতি শাড়ি, সালোয়ার কামিজ বা কুর্তি পরতে পারেন।
মেকআপ যতোটা সাধারণ রাখা যায় ততোই সুন্দর লাগবে। সাজের ক্ষেত্রে বিবি ক্রিম ব্যবহার করে হালকা কমপ্যাক্ট পাউডার মাখুন। এরপর চোখে কাজল ও হালকা লিপস্টিক দিয়ে সেরে ফেলতে পারেন ষষ্ঠীর সাজ। চুল সামনের দিকে টুইস্ট করে পেছনে পনিটেইল বা খেজুর বেণী করে নিন অথবা সামনে অল্প কিছু চুল বের করে খোপা গাঁথতে পারেন।
সপ্তমীর সাজ: সপ্তমীর সাজে নিয়ে আসতে হবে স্নিগ্ধতা। যেহেতু এখন গরম,তাই অঞ্জলি দিতে যাওয়ার সময় সুতির আরামদায়ক পোশাক পরাই উত্তম। চুলে একটা খোঁপা করে নিন। হালকা সাজে আপনাকে লাগবে সুন্দর এবং সজীব।
যেহেতু রাতের অনুষ্ঠান তাই সাজের বেলায় মেকআপের ক্ষেত্রে হালকা মেকাপ বা বিবি ক্রিম ব্যবহার করে করতে পারেন। চোখে ল্যাশ এবং স্মোকি আই লুক বেশ মানাবে। সঙ্গে কপালে একটা ছোট টিপ দিতে পারেন। পিচ বা হালকা গোলাপি রঙয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করুন।
খোঁপা করে চুলে বেশি ফুল লাগিয়ে সাজে স্নিগ্ধতা আনতে পারেন। পাশাপাশি নানা রঙের কাচের চুড়িতে হাত সাজিয়ে নিতে পারেন।
অষ্টমীর সাজ: ষষ্ঠী এবং সপ্তমীর পূজার সাজ থেকে অষ্টমীর সাজে নিয়ে আসুন একটু ভিন্নতা। এই দিনে নারীরা একটু গাঢ় সাজ পছন্দ করে। বিশেষ করে এদিন বেনারসি, সিল্ক, কাতানের মতো ভারী শাড়ি পরতে পারেন। অষ্টমীতে দিনের বেলা হালকা এবং রাতে ভারী সাজুন।
দিনে আরামদায়ক শাড়ি বা কামিজ পড়তে পারেন। যেহেতু রাতের তুলনায় দিনে গরম বেশি থাকবে তাই মেকাআপের ক্ষেত্রে হালকা বেজ মেকাপ করাই উত্তম।
রাতের সাজের আগে মুখে টোনার ব্যবহার করুন। এরপর একে একে ফাউন্ডেশন, ফেস পাউডার ও ব্লাশন লাগান এবং হাইলাইটার লাগালে সাজটা আরো ফুটে উঠবে।
এখন অনেকেই চুল কার্ল করে খোলা রাখেন। চাইলে খোঁপাও করতে পারেন। সঙ্গে হাতে চুড়ি, পায়ে আলতা ও কপালে টিপ পরুন। বিবাহিত হলে সিঁদুর পরে সাজে পূর্ণতা আনুন।
নবমীর সাজ: নবমীতে জাঁকজমকভাবে সাজুন। অষ্টমীর মতো এদিনও জামদানি, কাতান, সিল্কের শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ পরতে পারেন। এ ধরনের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ টাও হওয়া চাই গর্জিয়াস। রাতে কিংবা দিনে দুই বেলাতেই সাজুন একটু ভারি সাজে।
পোশাকের সাথে মিল রেখে মেকআপ এবং চুলের সাজ দিতে হবে। হালকা রঙ এর পোশাক পরিধান করলে সে ক্ষেত্রে সাজটা একটু গাঢ় বা ভারি দিলে ভালো লাগবে। সাথে খোলা চুল।
দশমীর সাজ: নবমীর উচ্ছ্বাস-আনন্দের পরই বিদায়ের সুর নিয়ে আসে বিজয়া দশমী। এই দিনে সবাই সিঁদুর খেলায় সবাই মেতে ওঠে। বলা হয়, পূজার প্রাণ হল এই বিজয়াদশমী। এইদিন নিজেকে সাজিয়ে তুলতে পারেন সাদা শাড়ি লাল পাড় দিয়ে।
চোখজোড়া সাজিয়ে তুলুন উজ্জ্বল রঙে। সঙ্গে মোটা করে কাজল, আইলাইনার ও মাসকারা ব্যবহার করুন। চুলের খোঁপায় দিয়ে দিন ফুলের গুচ্ছ। গালে ব্লাশন আর ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক একদম পরিপূর্ন করে তুলবে আপনার দশমীর সাজ।