সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:০৮ পিএম
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য নিজ দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করা এবং উৎপাদন কারখানা তৈরি করা অত্যন্ত ফলপ্রসূ কাজ হবে। বাংলাদেশের মত বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক সংস্থাসমূহের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে। এসব দেশে মুক্ত মনে অর্থায়ন করতে হবে। আগামীর নিরাপদ ও সুস্থ পৃথিবীর জন্য ভ্যাকসিন প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশ্ববাসীর একযোগে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় সিঙ্গাপুর ডিউক-নাস মেডিকেল স্কুলে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিপি) আয়োজিত ‘ওএডিপি কোর ভ্যাকসিন বিষয়ক ফিট-ফর-পারপাস ভ্যাকসিন টেকনোলজিস : দ্য এমালগামেশন অব সাইন্স, পলিসি এন্ড প্র্যাকটিস’ শীর্ষক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উদ্বোধনী বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বের বিভিন্ন মহামারিতে মানুষের ক্ষতির নানাদিক তুলে ধরেন। এসময় সর্বশেষ করোনা মহামারিতে গোটা বিশ্বের বহু মানুষের প্রাণহানীসহ ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরেন। বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় কীভাবে বিশ্বে সফল হয়েছে সে বিষয়কগুলোও তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। করোনা দুর্যোগে সঠিক সময়ে সঠিক নির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা প্রতিরোধে কীভাবে ভূমিকা রেখেছেন সে বিষয়টিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।
একটি জনবহুল ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ কীভাবে টিকাদান কর্মসূচিতে এত বেশি সাফল্য পেয়েছে সে প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি ঘন বসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সূদুরপ্রসারি নেতৃত্ব ও সঠিক সিদ্ধান্তগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ এখন অর্থনীতিতে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। দেশে গঠনমূলক কার্যকলাপ চলমান থাকায় করোনার মত মহামারিতে একদিনে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দিতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। দ্রুততম সময়ে দেশের ৯০ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়ার কারণে বাংলাদেশ এখন একটি নিরাপদ দেশ হিসেবে বিশ্বে জায়গা করে নিয়েছে। আগামীতে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আবারও মহামারি দেখা দিতে পারে। সেজন্য এখন থেকেই বিশ্বনেতাদের একযোগে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে ভ্যাকসিন উৎপাদন করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ।