ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:২২ পিএম
অবরুদ্ধ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। ছবি: ইবি প্রতিনিধি
দীর্ঘ এক মাসের অধিক সময় ধরে পোষ্যকোটায় ভর্তিতে শর্ত শিথিলসহ ১৬ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দাবি আদায়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানকে সিন্ডিকেট সভায় অংশ নিতে দেননি আন্দোলনকারীরা। গতকাল রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা।
জানা যায়, গতকাল বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬১তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদস্য সচিব হিসেবে অংশ নেওয়ার কথা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের। এদিকে দাবি আদায়ে ২৬ জুলাই থেকে পাঁচ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়ায় ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার থেকে পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রশাসনিক কাজে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অংশ না নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে রেজিস্ট্রার যাতে সিন্ডিকেট সভায় অংশ নিতে না পারেন এজন্য বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রশাসন ভবনের রেজিস্ট্রার অফিসে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।
সভা শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা অফিস ঘেরাও করে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে সিন্ডিকেট শেষ হলে সন্ধ্যা ৬টা দিকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
এবিষয়ে ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এ টি এম এমদাদুল আলম বলেন, ন্যায্য দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনে নেমেছি। প্রশাসন দাবি মেনে নেয় কিন্তু বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেয় না। পরিশেষে আমরা দেখলাম একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ছাড়া আমাদের ন্যায্য দাবিসমূহ বাস্তবায়ন হবে না। আগস্ট মাস শোকের মাস বলে আমরা তখন কোনো কঠোর কর্মসূচি নেইনি। এখন আমরা লাগাতার কর্মবিরতি গ্রহণ করেছি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে দাবিসমূহ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রশাসনের কাজে অংশ নেবে না। যার কারণে আজকের যে সিন্ডিকেট সভা ছিলো, তার সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমরা সেখান থেকে সরিয়ে নিয়েছি।
অবরুদ্ধের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, কর্মকর্তারা আমাকে সিন্ডিকেট সভায় অংশ নিতে দেয়নি। তারা আমার অফিস ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো। যাতে আমি সিন্ডিকেট সভায় অংশ না নেই।