নানির শেখানো কৌশলে ৪০ দিন আমাজনে টিকে ছিল সেই ৪ শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গভীর আমাজন জঙ্গলে মে মাসের ১ তারিখ অর্থাৎ এক মাসেরও বেশি সময় আগে বিধ্বস্ত হয়েছিলো কলম্বিয়ার একটি প্লেন। ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রাপ্তবয়স্ক তিন আরোহী। কিন্তু অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় চার শিশু।

অবশেষে দুর্ঘটনার ৪০ দিন পরে জীবিত এবং অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে চারজনকেই, যাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র এক বছর।

চার শিশুকে জীবিত উদ্ধারের ঘটনা এক টুইটে জানিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। তিনি লিখেন, ‘আমাদের পুরো দেশের জন্য আনন্দজনক খবর রয়েছে। আমাজন জঙ্গল থেকে চার শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ৪০ দিন আগে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর থেকে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার এই চার শিশু নিখোঁজ ছিল।‘

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টানা ৪০ দিন গভীর জঙ্গলে থাকার পরও এই চার শিশু বেঁচে ছিল ওদের নানির কল্যাণে। এই চার শিশুর সবচেয়ে বড়জনকে ওদের নানি খুব ছোটবেলা থেকে গভীর জঙ্গলে মাছ ধরা ও শিকারের কলাকৌশল শিখিয়েছেন।

এমনকি প্রকৃতি থেকে খাবার সংগ্রহের উপায়ও শেখানো হয়েছিল তাদের। দুর্ঘটনার পর এসব কৌশল চার শিশুকে আমাজনের গভীরে বেঁচে থাকার জন্য খাবার সংগ্রহে সহায়তা করেছে।

তবে এখনো উদ্ধারকাজ শেষ হয়নি। কলম্বিয়ার সেনাবাহিনী গতকাল শনিবার (১০ জুন) জানায়, এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা উদ্ধারকাজে দুটি কুকুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। কুকুর দুটির নাম—তেলিয়াস ও উইলসন। এর মধ্যে একটি কুকুরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কুকুরটির সন্ধানে কাজ করবেন উদ্ধারকারীরা।

এদিকে এএফপির আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার (১০ জুন) দিনের শুরুতে উদ্ধার করা চার শিশুকে রাজধানী বোগোতায় আনা হয়েছে। কলম্বিয়ার সেনাবাহিনীর চিকিৎসা উড়োজাহাজে এই চার শিশুকে বোগোতায় আনা হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে শিশুদের নেওয়া হয় হাসপাতালে।

গত ১ মে ছোট আকারের একটি উড়োজাহাজ আমাজন জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়। এতে পাইলটসহ প্রাপ্তবয়স্ক তিন ব্যক্তি নিহত হন। উড়োজাহাজে থাকা চার শিশুর খোঁজ মিলছিল না। নিহতদের মধ্যে ওই চার শিশুর মা রয়েছে। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরসহ ১৫০ সেনাকে মোতায়েন করা হয়। যোগ দেন নিখোঁজ শিশুদের বাবাসহ স্থানীয় ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh