রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫ শতাধিক ঘর ক্ষতিগ্রস্ত

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৩, ১০:৪০ পিএম

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামতের কাজ শুরু। ছবি কক্সবাজার প্রতিনিধি

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামতের কাজ শুরু। ছবি কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে পাঁচ শতাধিক ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে সেগুলো মেরামতের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।

আজ রবিবার (১৪মে) বিকেলে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করার সময় উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও আঘাত হানে। এসময় বৃষ্টির সঙ্গে ছিল তীব্র বাতাস ও ঝড়ো হওয়া। 

এতে অস্থায়ী বেশকিছু ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী  ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান।

রবিবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘরগুলো আসলে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র, বাতাসের বেগে বেশকিছু ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাঁচশর বেশি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে কোনোটি আংশিক আবার কোনোটি সম্পূর্ণ। দু-একটি জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। কিছু জায়গায় মাটি সরে গিয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো মেরামতে শেল্টার সেক্টর ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, যে শেল্টারগুলোর ক্ষতি হয়েছে সেগুলো মেরামতে আমাদের শেল্টার সেক্টর কাজ করছে। আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম বাতাসের গতিবেগ যাই হোক না কেন, এগুলো যেহেতু অস্থায়ী শেল্টার এবং এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া ছিল। পর্যাপ্ত শেল্টার কীট আছে এবং শেল্টার সেক্টর সেগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের ডিস্ট্রিবিউটর করবে।

রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা শফিক মিয়া বলেন, বৃষ্টি ও বাতাসের সময় আমাদের ভয় লাগছিল। আমার ব্লকে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি তবে দুই তিনটি গাছ ভেঙে পড়েছে।

পরিবারসহ ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি কমিউনিটি সেন্টার আশ্রয় নিয়েছিলেন আব্দুল করিম। তিনি বলেন, আমার ঘর পাহাড়ের নিচে তাই আমি এখানে চলে এসেছিলাম পরিবারের ৫ সদস্যসহ। বৃষ্টি থেমেছে, এখন চলে যাব। জানি না ঘর ঠিক আছে কিনা।

৪ হাজারের অধিক স্বেচ্ছাসেবক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন আশ্রয় নেওয়াদের সচেতন করা, নিরাপদে সরিয়ে নেওয়াসহ দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন কাজে তৎপর ছিল।

সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক মিজানুর রহমান বলেন, মাইকিং করা, ঝুঁকিপূর্ণ শেল্টারে থাকা মানুষগুলোকে কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে যাওয়াসহ আমরা বিভিন্ন কাজে সব সময় ছিলাম। এখন ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী কোনো ক্ষতি হলে সেখানেও আমরা কাজ করব। ইতোমধ্যে ভেঙে পড়া গাছ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh