অনাবাদি জমিতে তরমুজ চাষ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৩, ০১:২৬ পিএম

তরমুজ চাষ। ছবি: প্রতিনিধি

তরমুজ চাষ। ছবি: প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠি ইউনিয়নের মানিকহার গ্রামে বিভিন্ন আগাছায় ভরপুর ছিল যে অনাবাদি জমি, সেখানে কৃষকরা তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মানকিহার গ্রামে ১৯ হেক্টর অনাবাদি জমিতে এ বছর তরমুজ চাষ করা হয়। প্রতি হেক্টরে ৩৮ টন তরমুজ ফলেছে। মোট ৭২২ টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে।

যার বাজার মূল্য ২ কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতিটি তরমুজের ওজন হয়েছে ৫ কেজি থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত। এতে কৃষকরা প্রায় দেড় কোটি টাকা আয় করবেন বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

তরমুজ চাষি নারায়ণ বিশ্বাস, সঞ্জয় ও স্বপন বলেন, মানিকহার গ্রামের অনেক জমি অনাবাদি পড়ে থাকত। কৃষি বিভাগের পরামর্শে গত বছর ছয়জন কৃষক সংগঠিত হয়ে অনাবাদি ১২ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করি। ফলে এ বছর আরও ৭ একর জমিতে তরমুজের চাষাবাদ বাড়াই। মোট ১৯ হেক্টর জমিতে এখন তরমুজ চাষ হয়েছে। তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে।

গোপালগঞ্জের তরমুজের আড়তদার জয়দেব পাল বলেন, বাজারে তরমুজের শেষ সময় পার হচ্ছে তাই সরবরাহ কম বিধায় দাম বেশ চড়া। তরমুজ বিক্রি করে কৃষকরা ভালো দাম পেয়ে লাভবান হওয়ায় আগামী মৌসুমে কাঠি ইউনিয়নের মানিকহার গ্রামে অনাবাদি জমি ছাড়াও অন্য ফসলি জমিতে অনেকেই তরমুজ চাষের ইচ্ছে পোষণ করছেন।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, এ বছর অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ বাড়াতে রবি মৌসুমের শুরুতে কৃষকদের তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করি। কৃষক আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠি ইউনিয়নের মানিকহার বøকের কৃষক অনাবাদি ১৯ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh