কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৩, ০৩:০০ পিএম | আপডেট: ০৩ মে ২০২৩, ০৩:১৪ পিএম
এবারে কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর বুকে পটোলের বাম্পার ফলন হয়েছে। ছবি: প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে পারে ধরলার চরের কৃষকরা। এবারে কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর বুকে পটোলের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে দামও মিলছে আশানুরূপ বেশি। কিন্তু রোগবালাইয়ের আশঙ্কায় কীটনাশক ব্যবহার করলেও সরকারি কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তদারকি না থাকায় হতাশ কৃষক। তবে কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, যে কোনো ধরনের পরামর্শ দিতে তৈরি আছে তারা।
কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের উত্তর ও দক্ষিণ নওয়াবশ গ্রামজুড়ে ধরলা নদীর বুকে প্রায় ৫৫ একর জমিতে পটোল চাষ করেছে শতাধিক কৃষক। বাম্পার ফলনও হয়েছে এবার। কিন্তু হঠাৎ করে বৃষ্টি আর তীব্র খরার কারণে পটোলের পাতা লালবর্ণ হয়ে পচে যাচ্ছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও আশঙ্কায় থাকা কৃষক কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির কারণে ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
এ বছর চড়া সুদে ঋণ নিয়ে পটোল চাষ করে পোকার আক্রমণে লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছে তারা। খামারবাড়ির দেওয়া তথ্যে চলতি খরিফ মৌসুমে ৪ হাজার ৫১০ হেক্টর সবজির মধ্যে ৩৯০ হেক্টর জমিতে পটোলের আবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। শীত মৌসুম চলে যাওয়ার পর বাকি মৌসুম জুড়ে পটোল বিক্রি করতে পারবে চাষিরা। বাজারে চাহিদাও আছে ব্যাপক। এখন নতুন পটোলের চাহিদা প্রচুর। মাঠে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দাম পড়লেও খুচরা বাজারে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পটোল।
পটোলচাষি আব্দুল মান্নান জানান, বৃষ্টি ও তীব্র খরার কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে পটোল গাছের পাতা ও ডগা। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখন পর্যন্ত কৃষি বিভাগ থেকে কেউ দেখতে আসেনি বা কোনো খবরও নেয়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, জেলার চরাঞ্চলগুলোতে পটোলের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোগবালাইয়ের বিষয়ে সেবা দিতে তিনি নিজেসহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি অফিসাররা সব সময় তৈরি আছেন।