শবে কদরের করণীয় আমল ও বর্জনীয় বিষয়সমূহ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০৫ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের ইবাদত। এ রাতের ইবাদতের ফজিলত অনেক। নবীজী (সা.) রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে শবে কদর তালাশ করতে বলেছেন। কেউ কেউ রমজানের যেকোনো অংশে এ রাত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন।

কিন্তু বেশিরভাগ মনীষীর মতে রমজানের শেষ দশকেই তা লুকানো রয়েছে। আবার কারও কারও মতে, এ রাতের তারিখ পরিবর্তনশীল। কোনো বছর ২১, কোনো বছর ২৩, কোনো বছর ২৫, কোনো বছর ২৭ আবার কোনো বছর ২৯ তারিখের রাত লাইলাতুল কদর হয়। কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে অনেক মনীষী রমজানের ২৭ তারিখের রাতকে লাইলাতুল কদর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

মহিমান্বিত এ রাতে যেমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে, তেমনই রয়েছে বর্জনীয় বিষয়ও। 

শবে কদরের করণীয় আমল:

১. সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইবাদতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

২. মাগরিবের নামাজের পর নফল নামাজ আদায় করা।

৩. কোরআনুল কারিম তেলাওয়াত করা।

৪. বেশি বেশি জিকির-আজকার করা।

৫. বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করা।

৬. কৃত গুনাহের জন্য কান্নাকাটি করা এবং গুনাহ থেকে মাফ চাওয়া।

৭. কোনো মানুষকে কষ্ট দিয়ে থাকলে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া।

৮. বেশি বেশি দান-সদকা করা।

৯. মা-বাবা এবং মুরব্বিদের কবর জেয়ারত করা।

১০. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে বেশি বেশি ভালো কাজ করা।

১১. মানুষের প্রতি সুন্দর ও উত্তম আচরণ করা।

শবে কদরের বর্জনীয় বিষয়সমূহ

১. অবহেলায় এ রাত কাটিয়ে না দেওয়া।

২. শুধু ঘুমিয়ে রাত কাটিয়ে না দেওয়া।

৩. আলসেমি করে ইবাদতহীন বসে না থাকা।

৪. মানুষের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ না রাখা।

৫. আতশবাজি ফোটানো থেকে বিরত থাকা।

৬. গোল্লা ফোটানো থেকে বিরত থাকা।

৭. দলবেঁধে আড্ডাবাজি না করা।

৮. সবাই মিলে চিৎকার-চেঁচামেচি এবং হৈ-হুল্লোড় না করা।

৯. যাবতীয় গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকা

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh