নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ০১:৫০ পিএম | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ০১:৫৩ পিএম
ব্রয়লার মুরগি। ছবি: সংগৃহীত
গত কয়েক মাস ধরেই ব্রয়লার মুরগি আকাশ ছোঁয়া দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিনই ওঠানামা করছে এর দাম। সবশেষ গত সপ্তাহে মুরগির দাম কিছুটা কমলেও চলতি সপ্তাহে ফের বেড়েছে দাম। এদিকে চিনির দামও উর্ধ্বমুখী। ঈদের আগে ভোক্তারা যেনো কুল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না।
আজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে।
সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির বাজারে চলমান অস্থিরতার মধ্যেই কেজিতে ফের ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে ব্রয়লারের দাম। ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি ব্রয়লার মুরগি।
ক্রেতারা বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে দাম নাগালের বাইরে চলে যাবে। ঈদের আগে খাদ্যপণ্যের দাম এভাবে বাড়লে না খেয়েই ঈদ করতে হবে। সরকারকে বাজার মনিটরিংয়ে আরও কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এছাড়া বৈশাখী কেনাবেচার চাপ না পড়লেও সরবরাহ সংকটে পড়ে প্রতি হালি ইলিশের দাম বেড়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর এক কেজি ওজনের প্রতিপিস ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকায়।
মাছে-ভাতে বাঙালির পহেলা বৈশাখ উদযাপনে বরাবরই বাড়তি নজর পড়ে ইলিশের ওপর। তবে এবার বাংলা নববর্ষের চিত্র ভিন্ন, বাজারে চাহিদা নেই এই রুপালি মাছের। বিক্রেতাদের দাবি, সরবরাহ সংকটের কারণে দাম বাড়ায় ও রমজানের কারণে ক্রেতা নেই বাজারে।
এদিকে রাজধানীর বাজারে আবারও তীব্র সংকটে পড়েছে চিনি। গত ৬ এপ্রিল কেজিতে ৩ টাকা দাম কমানোর ঘোষণার পর থেকেই বাজার চলছে উল্টো পথে। খোলা চিনি কেজিপ্রতি ১০৪ টাকা বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও বিক্রেতাদেরই কিনতে হচ্ছে ১১৫ টাকার বেশি দামে।
বিক্রেতারা বলেন, বাজারে চিনির দাম বাড়তি। পাইকারি দাম পড়ছে ১১৫ টাকার বেশি। তাই চাইলেও সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া চিনির এই দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ সংকটের কারণে ঈদ উপলক্ষে লাচ্ছা সেমাই বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলেও জানান তারা।
অন্যদিকে তীব্র গরম ও রমজানের প্রভাবে চাহিদা বাড়ায় বেল, তরমুজ, আপেল, মাল্টাসহ দেশি-বিদেশি ফলের দোকানে বাড়তি চাপ পড়েছে ক্রেতাদের। দামও তাই ঊর্ধ্বমুখী। পাশাপাশি সবজির বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল থাকলেও লেবুর দাম ডজনে বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। প্রতি ডজন লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।