ঝিনাইদহে শর্টসার্কিটে যুবকের স্বপ্নপুড়ে ছাই

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:২২ পিএম

আগুনে ফার্নিচার তৈরির মেশিনসহ ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ছবি: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

আগুনে ফার্নিচার তৈরির মেশিনসহ ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ছবি: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী বাজারের বিল্লাল হোসেনের ভাই ভাই ফার্নিচার কারখানা। ছাই হয়ে গেছে কারখানার ভারি মেশিনসহ সকল ধরনের ফার্নিচার। ফার্নিচার তৈরির মেশিনসহ ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে

জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ বিল্লালের ফার্নিচার কারখানার দিক থেকে বিকট শব্দ শোনা যায়। সবাই এগিয়ে দেখে কারখানার ভিতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এলাকাবাসি চেষ্টা করে বাইরের কিছু ফার্নিচার আগুনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। কারখানার ভিতর আগুনের তীব্রতা ব্যাপক থাকায় ভিতরে ঢুকতে পারেনি। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে কারখার ভিতরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বিল্লালেরর বাবা মুন্নাফ হোসেন জানান, তাদের বাড়িতে তিন শতক জমি ছাড়া আর কিছুই নাই। ছেলে বিল্লাল হোসেন ছোট থেকে বিভিন্ন কারখানায় ফার্নিচার তৈরির কাজ শিখেছেন। এরপর দুই বছর হলো বিভিন্ন এজিও থেকে ঋণ নিয়ে নিজে ফার্নিচার তৈরির কারখানা দিয়েছে। হঠাৎ রাতে কারখানার সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ছেলের উপার্জনে চলতো তাদের সংসার।

বিল্লালের মা মনোয়ারা খাতুন জানান, ফার্নিচার কারখানায় কাঠের উপর খোদাই করে তৈরি করা হয় বাহারি রকমের নকশা। তৈরি করা হচ্ছিল শোবার খাট, ডেসিন-টেবিল, ডাইনিং-টেবিলসহ বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র। কাঠের উপর খোদাই করা এক-একটি নকশা যেন তার স্বপ্ন ছিল।

ভাই ভাই ফার্নিচারের মালিক বিল্লাল হোসেন বলেন, তিনি পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ফার্নিচার ব্যবসা শুরু করেন। কারখানা থেকে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ফার্নিচার তৈরি করতেন। ভালোভাবেই তার ব্যবসাটা পরিচালনা করে আসছিলেন। হঠাৎ রাতে আগুনে কারখানার সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন তিনি নিঃস্ব, তার কারখানায় ১০ লাখ টাকার ফার্নিচার তৈরির মেশিন ও ১০ লাখ টাকার কাঠ ও ফার্নিচার ছিলো।

কাতলামারী পুলিশ ক্যাম্পের এএস আই জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কারখানায় মেশিনসহ ১৬ লাখ টাকার ফার্নিচারের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আনুমানিক ধারণা করা হচ্ছে।

ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. সুমন আলী বলেন, বৈদ্যুতিক শট-সার্কিটের কারণে এই কারখানায় আগুনটা লেগেছে। কারখানার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কি পরিমাণ হতে পারে সেটা তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh