গোলাম ফারুক, সাভার, ঢাকা
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:১৬ পিএম
অতিথি পাখি। ছবি: সংগৃহীত
শীতকাল এলেই দেশের হাওর-বাঁওড়-পুকুর-জলাশয় মুখর হয়ে যায় পরিযায়ী বা অতিথি পাখিদের সমারোহে। ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি স্বাধীন মনে আকাশে উড়ে বেড়ায়। ইচ্ছে হলে ছুটে যায় ওই আকাশ ছুঁয়ে অনেক দূর।
সাধারণত হাজার হাজার মাইল অতিক্রম করে আমাদের দেশে আসে পরিযায়ী পাখিরা। তাদের দূর থেকে দেখলেও দুই চোখ জুড়িয়ে যায়। কত অপরূপ তাদের সৌন্দর্য।
প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের অঞ্চলে জানা অজানা প্রায় আড়াই হাজার প্রজাতির পাখি আসে। যাদের মধ্যে অনেকে হিমালয় পেরিয়ে আমাদের বঙ্গভূমিতে অবস্থান করে। পপদুর্ভাগ্যজনক হলো, অতিথি পাখি এদেশে অতিথি হয়ে থাকতে পারছে না; এক শ্রেণির শিকারির হাতে তারা শিকার হচ্ছে। পাখিরা মানুষের কাছে একসময় বিস্ময় হিসেবে থাকলেও আজ তা কারও কারও কাছে শৌখিন খাবারে পরিণত হয়েছে।
অতিথি পাখি শিকার করা হলে ভবিষ্যতে হয়তো এদের আসা চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। বন্য প্রাণী ও পাখিরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। সেপ্টেম্বর থেকে আসতে শুরু করলেও প্রতিবার অক্টোবরে তাদের দেখা মেলে।
দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস এই অঞ্চলে তারা বসবাস করে। শীত শেষে মার্চের দিকে নিজ দেশে ফিরে যায়। নীল আকাশের ওই দূর সীমানা পেরিয়ে কবে আসবে প্রিয় অতিথি পাখি। আমরা তাদের বরণ করার অপেক্ষায় রইলাম।