সাম্প্রদায়িক প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ৫ শিক্ষক চিহ্নিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৫০ পিএম | আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৫২ পিএম

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা। ছবি: সংগৃহীত

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের একটি প্রশ্ন নিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও পরিশোধনকারী পাঁচ শিক্ষককে চিহ্নিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার  এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অভিযুক্তরা হলেন—প্রশ্নপত্র প্রণেতা ঝিনাইদহের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল, প্রশ্নপত্র পরিশোধনকারী নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজুদ্দিন শাওন, সাতক্ষীরা সহকারী মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ এবং কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, অভিযুক্তরা সবাই যশোর বোর্ডের। তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে যশোর বোর্ড কারণ দর্শানোর নোটিশ দিচ্ছে।

এর আগে, গত রবিবার (৬ নভেম্বর) বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা দিয়ে সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। তাতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্রের সৃজনশীল অংশে একটি প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগ ওঠে।

প্রশ্নপত্রের ১১ নম্বর প্রশ্নে সনাতন ধর্মের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধের বিষয় তুলে ধরা হয়।

প্রশ্নে দেখানো হয়, নেপাল ও গোপাল নামের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাই নেপাল তার বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামের একজনের কাছে একাংশ জমি বিক্রি করে দেন। আব্দুল সেই জমিতে বাড়ি করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং কোরবানির ঈদে সেখানে গরু কোরবানি দেন। এতে জমি বিক্রেতার ভাইয়ের মন ভেঙে যায়, তিনি জমি-জমা সব ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যান।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh