রবিউল কমল
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২২, ১২:২৫ পিএম
পরীক্ষা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তার কারণে শিশু অসুস্থ হয়। ছবি: সংগৃহীত
পরীক্ষার সময়টা শিশুর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত সময়। শুধু শিশু কেন, অভিভাবকেরও দম ফেলার সুযোগ হয় না। এর সঙ্গে যোগ হয় বাড়তি চিন্তা ও চাপ। বাড়তি চাপের কারণে শিশুদের মধ্যে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য তাদের ব্যবহারেও পরিবর্তন আসতে পারে।
কখনো হাজার চেষ্টা করে পড়ায় মন বসাতে পারে না। আবার অনেক সময় পরীক্ষায় গিয়ে জানা বিষয় ভুলে গিয়ে নার্ভাস হয়ে পড়তে পারে। পরীক্ষার সময়ে উদ্বিগ্ন হওয়াটা খুব স্বাভাবিক; কিন্তু তা বেড়ে গেলে হতাশা দেখা দিতে পারে। তাই এ সময়ে অভিভাবকের করণীয় পরার্মশ দিয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সুমাইয়া ইসলাম।
অভিভাবকের করণীয়
প্রথমেই শিশুর মনে এই বিশ্বাস তৈরি করুন যে, সে পরীক্ষায় যেমন ফল করুক না কেন আপনাদের কাছে ফলের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ তার ভালো থাকা। তাকে বোঝান সে পরীক্ষায় ফল করলেই শুধু ভালো শিক্ষার্থী, আর না করলে তাকে মেধাবী ভাবা হবে না বা তার জীবন বৃথা হয়ে যাবে- এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। তাই পরীক্ষা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তার দরকার নেই। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়বে। বরং সে সুস্থ থাকলেই আপনারা খুশি- সেটা তাকে বুঝিয়ে বলুন।
সারা দিন তাকে বই নিয়ে বসে থাকার জন্য জোর করবেন না। তাকে তার মতো করে পড়তে দিন। হ্যাঁ, মনিটরিং করবেন, যেন সে পড়ার সময় টিভি না দেখে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যস্ত না হয়ে পড়ে। তার মানে এই নয় যে, সারা দিন এটা করো ওটা করো বলে তাকে বিরক্ত করবেন। বরং তাকেই একটি রুটিন করতে বলুন। সেখানে পড়ার পাশাপাশি কিছু ফ্রি টাইমও রাখতে বলুন। যাতে মাঝে মাঝে বিরতি নিয়ে পছন্দের কাজ করতে পারে। যেমন- গান শোনা, টিভি দেখা বা যে কোনো ক্রিয়েটিভ কাজ করতে পারে। এতে পড়াতে একঘেয়েমি আসবে না।
কিছু পড়ার পর সেটা লেখার পরামর্শ দিন। তাতে মনে রাখতে সুবিধা হবে। কারণ আমরা যখন কিছু লিখি তখন মস্তিষ্কে তার প্রভাব পড়ে। এতে পড়া বেশি সময় মনে থাকে। পরীক্ষার আগে মডেলটেস্ট সমাধান করাতে পারলে আরও ভালো হয়। এতে সময়ের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করার অনুশীলনও হয়ে যাবে।
পরীক্ষার সময় পরিমিত খাবার খাওয়া ও নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া প্রতিদিন রাতে অবশ্যই ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ঘুমানোর সময় আমাদের মস্তিষ্কে তথ্য জমা হওয়ার সময় পায়। অন্যদিক কম ঘুম পড়া ভুলে যাওয়ার অন্যতম কারণ।