পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২২, ০১:০৭ পিএম
ছবিতে হাছিনা বেগম ও তার স্বামী শাহিন। ছবি: পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর পুঠিয়ায় হাছিনা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে রড দিয়ে পেটানোর পর শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বোনের সরকারি চাকরির জন্য দাবিকৃত ঘুষের ৫ লাখ টাকা না পেয়ে স্বামী এ হত্যাচেষ্টা চালিয়েছেন বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ।
গতকাল বুধবার (২৭ জুলাই) এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে ভুক্তভোগীর স্বজনদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
ভুক্তভোগী হাছিনা দুর্গাপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের জাফর আলীর মেয়ে। তার স্বামী শাহিন পুঠিয়ার বড় কাচুপাড়া এলাকার মো. রাজিবের ছেলে।
পরিবার জানায়, ২০১১ সালে শাহিনের সাথে হাছিনার বিয়ে হয়। বিয়েতে ৪৫ হাজার টাকা যৌতুক নেন শাহিন। পরবর্তীতে বাসাবাড়ি নির্মাণের জন্য ১০ হাজার ইট ও টাকা দাবি করেন তিনি।
ভুক্তভোগী হাছিনার বাবা জাফর আলী বলেন, যৌতুকের জন্য রাতের বেলা ঘরে উচ্চ আওয়াজে টেলিভিশন চালু করে তার মেয়েকে নির্যাতন করতেন শাহিন। যেনো বাইরের মানুষ মারধর ও মেয়ের কান্নার শব্দ শুনতে না পায়।
তিনি আরো বলেন, সবশেষ গত ২০ জুলাই গভীর রাতে মেয়েকে রড ও লাঠি দিয়ে পেটায় শাহিন। এরপর গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় স্থানীয় সাবেক এক ইউপি মেম্বারকে নিয়ে গতকাল বুধবার দুর্গাপুর থানায় যাই। তবে মামলা না নিয়ে আদালতে যেতে বলেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হাছিনা বেগম বলেন, স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ননদের চাকরির কথা চলছে। চাকরির জন্য সাত লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে। সেজন্য আমাকে বাবার বাসা থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলেন আমার স্বামী। অপারগতা প্রকাশ করায় গত ২০ জুলাই রাতে শুরু হয় নির্যাতন। পরে গত শুক্রবার (২২ জুলাই) লুকিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে আসি। বর্তমানে আমি দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
তবে হাছিনার স্বামী মার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর নাজমুল হক বলেন, থানায় মামলা নেওয়া হয়নি, এমনটা হওয়ার কথা নয়। অপরাধ মামলার ক্রাইটেরিয়ায় পড়লে অবশ্যই মামলা নেওয়া হবে।