ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ মে ২০২২, ০৪:৩৮ পিএম
রানু মণ্ডল। ছবি- এনডিটিভি
ভারতের রানাঘাটের রেল ষ্টেশনে গান গেয়ে ভিক্ষা করতেন রানু মণ্ডল। সেই গান ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়ার পর রাতারাতি উত্থানে বদলে যায় তার জীবন। তবে নিজের দম্ভ আর আচরণের কারণে পতনও হয়েছে ভাইরাল গায়িকার। এমনকি অবস্থা এতো খারাপ যে দুই বেলা খাবারও জোটে না। এতে রাগে দুঃখে পুরনো জীবন নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন ভাসমান এই নারী।
প্রতিদিনই রানু মণ্ডলের কোন না কোন ভিডিও ইউটিউবারের চ্যানেলে আপলোড হয়। সেখানে তিনি গান করেন, নাচেন। তবে এসবকে ভাঁড়ামো বলেই আখ্যা দেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দর্শকরা।
এসব নিয়ে ক্ষোভ ভাইরাল রানু মণ্ডলের। তিনি বলেন, কেউ একটু খাবার আনে না। শুধু লাইক পাওয়ার আশায় ভিডিও করে। খিদেয় পেট তোঁ চোঁ করলে গলা দিয়ে আওয়াজ বের হবে কি করে।
রানু মণ্ডল জানান, বাড়ির বাইরে একটা টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে হয় বাড়িতে। কিন্তু গেট খুলে সেখানেও যেতে পারেন না। কারণ, গেট খুললেই ঢুকে আসে ইউটিউবাররা। মাঝে মাঝে খিদে-তেষ্টায় তিতিবিরক্ত হয়ে যখন গালাগালি দেন, থুতু ছেটান, তখন পাড়াপড়শি ভাবে তিনি পাগল। মানসিক ভারসাম্য হারিয়েই এমন করছেন।
ভাইরাল হওয়ায় পুরনো জীবনেও ফিরতে পারছেন না তিনি। ভাসমান এই নারী বলেন, এখন আর আগের মত স্টেশনের সামনে বাটি হাতে বসতে পারি না। বাড়ির বাইরে পা রাখলেও অনুরোধ ভেসে আসে ‘একটা গান শোনান না’। কিন্তু খাবার দেয় না কেউ।
রানু মণ্ডল বলেন, সকালে শুধু লিকার চা-বিস্কুট খেয়েই কেটে যায়। দুপুরে ৫টাকার সেদ্ধ চাউমিন জোটে কোনও না কোনও দিন। আর রাতে বেশিরভাগ সময়তেই ঘুমোতে যেতে হয় খালি পেটে। হাল এতটাই খারাপ!
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশের আরেক ভাইরাল গায়ক হিরো আলমের সঙ্গে ডুয়েট গান করেছেন রানু মণ্ডল। আলমের ইউটিউবে সেই গান দেখে সমালোচনা করেছেন অনেকেই।