নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৩:৩২ পিএম
এসআই লিয়াকত ও ওসি প্রদীপ। ফাইল ছবি
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্সের নথি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছেছে।
আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টের ডেসপাস শাখায় এসে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল। রায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের নিয়ম অনুযায়ী, এখন মামলার পেপারবুক তৈরি হবে। পেপারবুক তৈরি হলে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাইকোর্টে একটি দ্বৈত বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন যেখানে মামলার শুনানি হবে।
এর আগে কক্সবাজারের সিনিয়র আইনজীবী ও সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেছিলেন, কোনও ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হলে আদালতের নিয়ম অনুযায়ী মামলার রায় হওয়ার সাতদিনের মধ্যে সমস্ত নথি, কেস ডায়েরি, সাক্ষী-প্রমাণাদিসহ কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এ সময় লালসালু কাপড়ে মুড়িয়ে কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়ে থাকে। নিয়মানুযায়ী প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডাদেশের কপিও সেভাবে হাইকোর্টে যাবে।
তিনি আরও বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির আদেশ হাইকোর্টকে অবহিত করতে হয়। হাইকোর্টকে অবহিত না করা পর্যন্ত আদেশ কার্যকর হবে না। এছাড়া আসামিপক্ষ আপিল করতে পারে। মামলার রায়ে সন্তুষ্ট না হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার এখতিয়ার সবার রয়েছে।
মামলার আসামি বিতর্কিত ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত ও বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব এবং টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- বরখাস্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ।
নির্মম ও আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ১৮ মাসের মাথায় রায় ঘোষণা হয়। বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে মাত্র ৩৩ কার্যদিবসে শেষ হয় মামলাটির পরবর্তী কাজ।