আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:০৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ইয়েমেনের রাজধানী সানায় চালানো বিমান হামলায় তারা প্রাণ হারান। নিহতরা সবাই একই ভবনের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
এর আগে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে ড্রোন হামলা চালায় ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এতে তিনজন নিহত হন। নিহতদের দু’জন ভারতীয় এবং অন্যজন পাকিস্তানি নাগরিক। এই হামলার জবাবেই মঙ্গলবার ইয়েমেনের রাজধানী সানায় সৌদি জোট বিমান হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইরানপন্থি হুতি বিদ্রোহীদের ঘাঁটিসহ বিভিন্ন অবস্থানে বিমান হামলার কথা জানায় সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট।
রয়টার্স বলছে, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ভোরে চালানো এই হামলায় ১৪ জন নিহত হওয়ার কথা জানা গেছে। সানার অন্যান্য স্থানের মতো সাবেক একজন সামরিক কর্মকর্তার বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, সৌদি জোটের বিমান হামলায় সাবেক ওই সামরিক কর্মকর্তা, তার স্ত্রী, তাদের ২৫ বছর বয়সী সন্তানসহ পরিবারের অন্য সদস্য এবং অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
তবে রাজধানী সানায় সৌদি জোটের হামলায় প্রায় ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জানিয়েছেন হুতি নিয়ন্ত্রিত সরকারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী। অন্যদিকে হুথিদের পরিচালিত আল মাসিরাহ টিভিতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং প্রায় আরও এক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন।
এছাড়া হামলায় বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়েছে বলেও আল মাসিরাহ টিভিতে দেখানো হয়েছে।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।