সিনেমা হল নির্মাণে ঋণ সীমা বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:২৯ পিএম

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

চলচ্চিত্রের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সিনেমা হলগুলোর জন্য ১ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে সিনেমা হল সংস্কার, আধুনিকায়ন ও নতুন হল নির্মাণে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার সুযোগ ছিল। এ সীমা বা‌ড়িয়ে ১০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে প্রকাশিত সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জারি করা নির্দেশনাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর করতে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, নতুন সিনেমা হল নির্মাণ এবং বিদ্যমান সিনেমা হল সংস্কার ও আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে এই স্কিমের আওতায় সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে। একই ভবনে একটি কোম্পানি ব্যক্তি মালিকানাধীন (একক বা যৌথভাবে) সিনেপ্লেক্স যত সংখ্যক স্ক্রিনবিশিষ্ট হোক না কেন, তা আলোচ্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একটি ইউনিট হিসেবে বিবেচিত হবে।

এরূপ নতুন একটি ইউনিট স্থাপনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা এবং বিদ্যমান একটি ইউনিট সংস্কারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা ঋণ সুবিধা প্রাপ্য হবে। তবে ঋণ প্রদানের পূর্বে যাচিত ঋণ চাহিদার বিষয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক পর্যালোচনান্তে নিশ্চিত হতে হবে।

সার্কুলারে বলা হয়, আলোচ্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ঋণ সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একটি সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্সের আসন সংখ্যা ন্যূনতম ১০০ (একশত) হতে হবে। ভাড়াকৃত বা ইজারাকৃত স্থাপনায় বিদ্যমান বা নির্মিতব্য সিনেমা হল কিংবা সিনেপ্লেক্সের মালিকপক্ষের সঙ্গে ভবন মালিকের ভাড়া বা ইজারা চুক্তির মেয়াদ প্রদেয় ঋণ পরিশোধের জন্য নির্ধারিত মেয়াদের চেয়ে কমপক্ষে ৫ বছর বেশি হতে হবে।

এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে দর্শকদের সুস্থ ধারার বিনোদনে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিদ্যমান সিনেমা হল, সিনেপ্লেক্স সংস্কার ও নতুন নতুন সিনেমা হল, সিনেপ্লেক্স নির্মাণের উদ্দেশ্যে গঠিত পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আওতায় স্বল্প সুদে বিতরণযোগ্য ঋণের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে ৫ শতাংশ সুদহারে বিভাগীয় অঞ্চল এবং এর বাইরের এলাকার জন্য সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর এই ঋণ শোধ করা যাবে আট বছর পর্যন্ত। প্রথম বছরে ঋণ পরিশোধে ছাড় মিলবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh