আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২১, ০৬:৪২ পিএম | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২১, ০৭:৫১ পিএম
কার্টুন: আনন্দবাজার
গরুর বাছুরকে টিকা দিতে গিয়ে লাথি চোটে পশুস্বাস্থ্যকর্মীদের শরীরেই ঢুকল সূচ। তার পর থেকে জ্বর, গা-ব্যথা। এমন উপসর্গ নিয়ে কলকাতা স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন (এসটিএম)-এ ভর্তি হয়েছেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের নয় জন কর্মী। তাদের দাবি, বাছুরকে ইঞ্জেকশন দিতে গিয়ে তারাই ‘বন্ধ্যাত্ব রোগে’ আক্রান্ত!
২০ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর গবাদি পশুকে ‘ব্রুসেলোসিস’ (বন্ধ্যাত্বকরণ)-এর টিকা দেওয়া কর্মসূচি ছিল পশ্চিমবঙ্গে। ওই কর্মসূচি চলাকালীন এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি এসটিএম-এ ভর্তি হতে আসা এক স্বাস্থ্যকর্মীর।
তিনি জানান, শরীরে সূচ ফোটানোর সময় স্বাভাবিক ভাবেই বাছুরেরা ছটফট করে। তেমনই এক বাছুরের লাথির চোটে সেই সময় আমাদের শরীরেই সূচ ঢুকে গিয়েছে। মনে হচ্ছে বন্ধ্যাত্ব রোগে আক্রান্ত হয়েছি।
আর এক পশুস্বাস্থ্যকর্মী বলেন, ‘পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না দিয়ে টিকা দেওয়ার কাজে পাঠানো হয়েছে আমাদের। টিকা দেওয়ার সময় যে গ্লাভস পরে থাকি, তা-ও নিম্নমানের।’
গা-ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখার মতো একাধিক উপসর্গ নিয়ে প্রথম নদিয়ার এক কর্মী এসটিএম-এ ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী সম্পদ বিকাশ কর্মী ইউনিয়নের সম্পাদক আহমেদ আলি। ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সভাপতি সৌমিত্র মণ্ডল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মোট ৯ জন ভর্তি হয়েছেন এসটিএম-এ।