ডেল্টায় চীনা টিকার ‘কার্যকারিতা কম’

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২১, ০৮:৪৭ পিএম

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক ধরন ডেল্টার বিরুদ্ধে চীনের ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতা কম। তবে এই ভাইরাসটির অন্যান্য অভিযোজিত ধরন আলফা, বেটা, গ্যামা, কাপ্পা প্রভৃতির বিরুদ্ধে মানবদেহে কার্যকর প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি গঠনে সক্ষম চীনের টিকা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, চীনের জনস্বাস্থ্য গবেষক ও ওষুধ বিষয়ক চীনের শীর্ষ সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা চায়নিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সাবেক উপ পরিচালক ফেং জিজিয়ান এই তথ্য জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জিজিয়ান।

সাক্ষাৎকারে ফেং জিজিয়ান জানান, চীনের ৭টি কোরোনা টিকার মধ্যে দুইটিকে শিগগিরই ‘অকার্যকর’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে। এই টিকা দুইটি মানবদেহে যথেষ্ট পরিমাণ প্রতিরোধী শক্তি গড়ে তুলতে সক্ষম নয়; সাম্প্রতিক গবেষণায় তার প্রমাণ মিলেছে।

তবে কোন দুই টিকাকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে- তা জানাননি ফেং জিজিয়ান।

চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশই ডেল্টায় আক্রান্ত।

২০২০ সালে ভারতে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল করোনার এই অভিযোজিত ধরনটি। প্রথমদিকে করোনার ভারতীয় ধরন হিসেবে উল্লেখ করা হলেও চলতি জুনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এটির নাম রাখে ডেল্টা।

এ বিষয়ক এক বিবৃতিতে সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গ্রীক বর্ণমালা অনুসারে করোনাভাইরাসের এসব অভিযোজিত ধরনের নামকরণ করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতাতেই ভারতীয় ধরনের নতুন নাম দেয়া হয়েছে ডেল্টা।

ডব্লিউএইচওর গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বিধ্বংসী ধরন এই ডেল্টা। ভাইরাসটির অন্যান্য অভিযোজিত ধরনের তুলনায় ডেল্টার সংক্রমণক্ষমতা ৪০ শতাংশ বেশি।

এ পর্যন্ত বিশ্বের ৮০ টি দেশে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক এই ধরনটির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। গেল সপ্তাহে ডব্লিউএইচওর শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথান ডেল্টাকে করোনার প্রধান ধরন (ডমিন্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট) হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh